সংবাদ শিরোনাম :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের অব্যাহতি আদেশ প্রত্যাহার।। রংপুরে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় পরিবেশ দিবসে একযোগে ৬৪ জেলায় বৃক্ষরোপণ ও প্লাস্টিক দূষণ বিরোধী সচেতনতা কর্মসূচীতে রংপুরের আয়োজন। রংপুরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সর্বদলীয় বৈঠক: ফ্যাসিবাদ ও তাদের সহযোগিদের মোকাবেলা করার সিদ্ধান্ত রংপুরে ময়না কুটি হিমাগারে আলুর পরিবর্তে পুস্টির  ৭০০ কেজি মিস্টি জব্দ করলো সেনাবাহিনী জলঢাকায় পারিবারিক কলহের জেরে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু গো-খাদ্য হিসেবে পচাঁ ভুট্টা গাছে ‘সাইলেজ’ উৎপাদন ‎দামোদরপুর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত। রংপুরে বাবামায়ের কাছে নেশার টাক না পেয়ে ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করলো বড় ভাই রংপুর মহানগরীতে রাজনৈতিক দলগুলো সভা-সমাবেশে মিছিলের আগে পুলিশের অনুমতি নিতে গণবিজ্ঞপ্তি
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নৌমন্ত্রী

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নৌমন্ত্রী

ফাইল ছবি

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিবিএর আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া ক্রমেই গতিলাভের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। সংকীর্ণ দলাদলি, উপদলীয় কোন্দল এবং হানাহানিযুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এমনিতেই দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে। অনেক ঘটনা-দুর্ঘটনা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি গ্রহণযোগ্য ভাবমূর্তি মানুষের মধ্যে থাকা প্রয়োজন।

শ্রমিকনেতা হিসেবে শাজাহান খানের ভূমিকার কারণে আজ তা হুমকিগ্রস্ত বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। জাসদের রাজনীতিতেও তিনি শ্রমিকনেতা ছিলেন। তাই তিনি নিজেই সাক্ষ্য দেবেন, অতীতে কখনোই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিবিএ নেতাদের কোনো সমাবেশে এভাবে রীতিমতো কাগজে-কলমে ‘বিরোধী দলকে শায়েস্তা’ করতে যুক্ত করা হয়নি।

এটা পরিহাসজনক যে নৌপরিবহনমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন, তা কার্যত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধেই যাচ্ছে। তিনি যেন ভুলে গেছেন তাঁর দলই সরকারে এবং যেকোনো নাশকতা, তা যে যখনই করুক না কেন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ। আর তার বিচার করা সরকারের স্বাভাবিক কর্তব্য। আমরা অবশ্যই অভিযোগ অনুযায়ী বিএনপি-জামায়াতের দ্বারা সংঘটিত ২০১৩-১৪ সালের অগ্নিসংযোগ ও হত্যার তদন্ত এবং বিচার আশা করি। আর সরকারকে যদি এ জন্য একান্ত চাপ দিতেই হয়, তাহলে সে জন্য আওয়ামী লীগের অন্য বহু অঙ্গসংগঠন রয়েছে। তাদের শক্তি-সামর্থ্য এতটা কমে যায়নি যে এখন স্বায়ত্তশাসিত এবং সবচেয়ে সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মচারীদের এ কাজে ব্যবহার করতে হবে।

তাই এই আশঙ্কা অমূলক নয় যে আগামী সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতির সঙ্গে এর যোগসূত্র থাকতে পারে। তার থেকেও ভয়াবহ যে দিকটি লক্ষণীয় তা হলো, ব্যাংক খাতে অবলোপনসহ খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আর সে জন্য রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারি খাতের ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগকে চিহ্নিত করা হয়। এমন একটি বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নৌমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ব্যাংকিং-সংশ্লিষ্ট লোকজন প্রমাদ গুনছেন।

বিষয়টিকে বিচ্ছিন্নভাবে একজন উচ্চাভিলাষী মন্ত্রীর খেয়াল-খুশি হিসেবে দেখার সুযোগ কম। এবার যা ঘটল, তার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পরিচালনা পর্ষদকেও নিতে হবে। কারণ, সিবিএর কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতাদের যাতায়াত খরচ বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল থেকে বহন করা হয়েছে এবং সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে কর্মক্ষেত্রে তাদের ‘অব্যাহতি’ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জযোগ্য কি না, তা-ও প্রশ্নের বাইরে নয়।

আমরা মনে করি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা, স্বায়ত্তশাসন ও তার মর্যাদার প্রতি  শ্রম অধিকার–বহির্ভূত যেকোনো পদক্ষেপকে প্রতিরোধ করা উচিত।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved © batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com