স্টাফ করেসপনডেন্ট, ঢাকা।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আমি বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় যেটা বুঝেছি, উনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাননি। অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে সেটা বলেছে। তারা আমাদের কাছ থেকে নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকাই পালন করছে জানিয়ে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার নিশ্চয়তা প্রধান উপদেষ্টা দিয়েছেন। জনপ্রশাসন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে বড় বদলির ব্যাপারটা উনি নিজে দেখবেন।
নির্বাচনের সময় উপদেষ্টা পরিষদ ছোট হবে কিনা জানতে চাইলে ড. আসিফ নজরুল বলেন, এ ধরনের কথা কোথাও আলোচনা হয়নি। এটা উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার বিষয়। নির্বাচনকালীন সরকার ছোট হবে কিনা এ ধরনের কোনো দাবিও কোনো মহল থেকে উত্থাপন হয়নি।
অন্তর্বর্তী সরকারে দলীয় কেউ থাকলে তাদের অপসারণের বিষয়ে বিএনপি যে দাবি করেছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইন উপদেষ্টা বলেন, সেটা তো ওনারা এর আগেও বলেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আরও ক্লোজলি মনিটর (নিবিড় তদারকি) করবেন বলেছেন।
জনপ্রশাসনে নিয়োগ-বদলি দলীয়ভাবে হয় বলে যে অভিযোগ ওঠেছে, সেজন্য কি এই (প্রধান উপদেষ্টার নিবিড় তদারকি) প্রসঙ্গটি এসেছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, না, আমরা মনে করি না দলীয়ভাবে হয়।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে সব দলই অভিযোগ করে। একদল বলে ওই দলের লোক আছে, আরেক দল বলে এই দলের লোক আছে। যেহেতু সব দলই অভিযোগ করে অন্য দলের লোক আছে, তার মানে হচ্ছে আমরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছি।
নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো সংশয় আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, মাঠে-ঘাটে মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব আছে কিনা আমি জানি না। আমার মনে হয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেভাবে অনৈক্য থাকে, তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে বলে, ওটার কারণে হয়তো (নির্বাচন নিয়ে মানুষের সংশয়)।
তিনি বলেন, আমার ধারণা যখন আমরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাস্তব অগ্রগতি দেখব, এ সম্পর্কে সব সংশয় খুব দ্রুত কেটে যাবে বলে আশা করি।
বাতায়ন২৪ডটকম।।মেমোহি।।