আমরা এখনো লক্ষ্য করছি জুলাইকে ব্যবহার করে একটা শ্রেণি তাদের নিজেদের আখের গোছানো, নিজেদের পকেট ভারি করা, নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়েছে। আমরা এ প্রজন্ম বিশ্বাস করি আমরা বেঁচে থাকতে, আবু সাঈদের প্রজন্ম বেঁচে থাকতে কাউকে জুলাই নিয়ে ব্যবসা করতে দিব না ইনশাআল্লাহ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে কারমাইকেল কলেজ শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আবু সাঈদের যে স্বপ্ন, প্রত্যেক শহীদ পরিবারের যে স্বপ্ন আমরা জীবন দিয়ে হলেও সেটি বাস্তবায়ন করব ইনশাআল্লাহ। এখনো শহীদ পরিবারের কান্নাগুলো থামেনি। শহীদ পরিবারের মায়েরা এখনো কান্না করেন। তাদের সন্তানের জন্য তারা আহাজারি করছেন। এই সমাজে কোন জুলুম প্রতিষ্ঠা হতে দিব না। নতুন কোন ফ্যাসিবাদকে কায়েম হতে দিব না। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা ক্যাম্পাস থেকে কোন হল দখলের রাজনীতি চলবে না। কোন ধরনের ক্যান্টিন গুলোতে ফ্রিতে খাওয়া অন্যের দিকে চাপিয়ে দেওয়া এটা আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে চলবে না। কাউকে গোলামের মত বানিয়ে মিছিলে নিয়ে যাওয়া আর চলবে না। এ ধরনের রাজনীতি আর ক্যাম্পাসে চলবে না।
এ-সময় জীবন থাকতে কাউকে জুলাই নিয়ে ব্যবসা করতে দেয়া হবে না বলেও হুশিয়ারি দিয়ে শিবির সভাপতি বলেন, এই জুলাই হঠাৎ করে হয়নি। ২০০৬ সালে ২৮শে অক্টোবর বাংলাদেশ একটি কলঙ্কদিনের উদাহরণ হিসেবে থাকবে। সেটি তৎকালীন খুনি শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছিলেন সারা দেশ থেকে লগি বৈঠা নিয়ে ঢাকায় আসার জন্য। এবং মানুষকে লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে মেরে সেই লাশের উপর উদ্যম নৃত্য করা, হায়নার মতো নিত্য করা। বাংলাদেশে সেই কলঙ্ক সৃষ্টি করেছে খুনি হাসিনা। ২৮শে অক্টোবর হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদের বীজ রোপন করেছিল। তারে ধারাবাহিকতায় আমরা দেখেছি খুনি হাসিনা ক্ষমতায় এসেই সর্বপ্রথম আমাদের যে দেশপ্রেম সেনা অফিসারদেরকে হত্যা করেছে। এরপরে আলেম ওলামাদেরকে হত্যা করেছে। শুধুমাত্র দুই তিনের ব্যবধানে আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে একশোরও বেশি মানুষের হত্যা করা হয়েছিল। নারী শিশু থেকে সকলকেই হত্যা করা হয়েছিল। আমরা দেখেছি জুলাই আগস্টে অসংখ্য শিশু বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আল্লাহতালার পক্ষ থেকে এই প্রজন্ম তারা যখন জেগে উঠেছিল হাসিনা তার এই ফ্যাসিবাদকে আর ধরে রাখতে পারে নাই।
শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীবান্ধন কাজ করার জন্য নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে ছাত্রশিবির। এ বিজয় তখনই উদযাপন হবে, যখন শিক্ষার্থীদের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি নির্বাচিতরা পূরণ করতে পারবে। তিনি বলেন, এ-সময় ডাকসুর মাদক নির্মুল কর্মকাণ্ডে বাঁধা সৃষ্টি কারীদের কঠোর সমালোচনা করে ২৪ এর পাঁচই আগস্ট বস্তা পচা রাজনীতির কবর রচিত হয়েছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবার রহমান বেলাল, রংপুর মহানগর শিবির সভাপতি নুরুল হুদাসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বাতায়ন২৪ডটকম।। মেমোহি।।