দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসানের ব্যাটিং নৈপুণ্যে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৬ রান করেছে বাংলাদেশ। সৌম্য ৯১ ও সাইফ ৮০ রান করেন।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাট হাতে নেমে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। পাওয়ার প্লেতে ৭৪ রান যোগ করেন তারা। ১৬তম ওভারে দলের রান ১শ’তে নেন সাইফ-সৌম্য। এরমধ্যে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৪তম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান সৌম্য। কিছুক্ষণ পর ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে ম্যাচে সাইফ পান প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা।
সাইফ-সৌম্যর জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ২২তম ওভারে দলীয় রান দেড়শ স্পর্শ করে বাংলাদেশ। ২৬তম ওভারে দলীয় ১৭৬ রানে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনার রোস্টন চেজ। ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে জাস্টিন গ্রেভসকে ক্যাচ দেন সাইফ। ৬টি করে চার-ছক্কায় ৭২ বলে ৮০ রান করেন তিনি। ব্যক্তিগত ২৮ রানে লেগ বিফোর আউট হলেও, রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান সাইফ।
উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭৬ রানের জুটি গড়েছেন সাইফ ও সৌম্য।
২৯তম ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফিরেন সৌম্য। স্পিনার আকিল হোসেনের বলে আকিম আগস্তেকে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৬ বলে ৯১ রান করেন সৌম্য।
১৮১ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ফেরার পর বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন তাওহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় উইকেটে ৭০ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন তারা। ২ চারে ২৮ রান করে থামেন হৃদয়।
হাফ-সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৪৪ রানে বিদায় নেন শান্ত। ৩২ ও ৪১ রানে ক্যাচ দিয়ে দু’বার জীবন পাওয়া শান্তর ৫৫ বলের ইনিংসে ৩টি ছক্কা মারেন। হৃদয় ও শান্ত উভয়েই শিকার হন স্পিনার অ্যালিক আথানাজের।
দলীয় ২৫২ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে শান্ত ফেরার পর ৪৬তম ওভারেই তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মিডল অর্ডারে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে ৬, রিশাদ হোসেনকে ৩ ও নাসুম আহমেদকে ১ রানে শিকার করেন স্পিনার আকিল হোসেন। এতে ২৬১ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে দলীয় ৩শ রানের কোটা স্পর্শ অনিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের।
অষ্টম উইকেটে শেষ ২৪ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহ এনে দেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান ও অধিনায়ক মিরাজ। ৩শ রান না হলেও ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৬ রান করে বাংলাদেশ।
১টি করে চার-ছক্কায় ৮ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান। ১টি বাউন্ডারিতে ১৭ বলে ১৭ রান করে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন মিরাজ। বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আকিল ৪১ রানে ৪টি ও আথানাজে ৩৭ রানে ২ উইকেট নেন।
বাতায়ন২৪ডটকম।।মেমোহি।।