স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।বাতায়ন২৪ডটকম।।
শুটিংয়ে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন ২৩ বছর বয়সী ভারতীয় মডেল শীতল চেীধুরী। অবশেষে হরিয়ানের সোনিপাতের একটি খাল থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে শীতলকে। জানা যায়, ১৪ জুন শনিবার বাড়ি থেকে শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন শীতল। নির্ধারিত সময়ের পরেও বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এরপর ১৫ জুন রবিবার শীতলের মরদেহ উদ্ধার হয়। উদ্ধারের সময় মৃতদেহের গলা কাটা অবস্থায় ছিল। এই ঘটনায় শীতলের প্রেমিক সুনীলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যায়, সেদিন সুনীল তাকে নিজের গাড়িতে নিয়ে যান। কিছু পানিয় পান করার পর তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। রাত দেড়টায় শীতল তার বোন নেহাকে ফোন করে জানায়, সুনীল তাকে মারধর করছে। কিছুক্ষণ পরে নেহা তার বোনের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি। কারণ ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সুনীল শীতলকে হত্যা করে গাড়িসহ তার মৃহদেহ খালে ফেলে দেয়। লাশ উদ্ধারের পর হাতে ও বুকে উল্কিচিত্র দেখে তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়। মরদেহে একাধিত ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে সুনীলকে আটক করা হলে তিনি শীতলকে হত্যার দায় স্বীকার করে নেন। শীতল ও সুনীলের মধ্যে ছয় বছরের সম্পর্ক ছিল। সুনীল বিবাহিত ও দুই সন্তান থাকার কারণে তার বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি শীতল। যদিও শীতল নিজেও বিবাহিত ছিলেন এবং তারও একটি সন্তান রয়েছে।
বাতানয়২৪ডটকম/শরিফুল ইসলাম।