সংবাদ শিরোনাম :
উপজেলা পরিষদের পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ‎১৮তম নিবন্ধনের গণবিজ্ঞপ্তি :একটি পত্রিকা ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা, তবুও রংপুরে মিলছে না কপি ‎ সেনাবাহিনী ইউনিফর্মের কাপড় ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটক এক যুবক গোবিন্দগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার কাউনিয়ায় টিসিবি কার্ডে, টাকা নেওয়ার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোসাদের অভিযান কেন্দ্রে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা! ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪৪ রোগী হাসপাতালে ভর্তি ভারত মডেলের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার, হত্যার দায় স্বীকার প্রেমিকের রংপুরে আদালত চত্বরে ভ্যান হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়া আনারুল-আরেফা দম্পতি পেলেন ভ্যান কেনার টাকা সুন্দরগঞ্জে এমপিও বঞ্চনার স্বীকার উপাধ্যক্ষের অভিযোগ
সুন্দরগঞ্জে এমপিও বঞ্চনার স্বীকার উপাধ্যক্ষের অভিযোগ

সুন্দরগঞ্জে এমপিও বঞ্চনার স্বীকার উপাধ্যক্ষের অভিযোগ

 

রেজাউল ইসলাম সুন্দরগঞ্জ,গাইবান্ধা।।বাতায়ন২৪ডট।।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ভূরারঘাট এম.ইউ বহুমুখী ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মো. সাখাওয়াত হোসেন দীর্ঘদিনের বেতন-ভাতা বঞ্চনা, অনিয়ম ও ভুয়া নিয়োগের অভিযোগ এনে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সোমবার দুপুরে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার বাহিরগোলা মসজিদসংলগ্ন নিজস্ব কার্যালয়ে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি ২০১০ সাল থেকে প্রভাষক (আরবি) পদে এবং পরবর্তীতে উপাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে আমি এবং আরও চারজন শিক্ষক মোছা. মোবাশ্বেরা মাহমুদা, নাজমা বেগম, মোছা. দিল আফরোজা ও মো. আতিকুর রহমান এমপিওভুক্তি থেকে বঞ্চিত হই। পরবর্তীতে মোবাশ্বেরা মাহমুদা অন্যত্র চাকরিতে যোগ দেন।’তার অভিযোগ, তৎকালীন সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটনের সরাসরি হস্তক্ষেপে মাদ্রাসায় একাধিক অযোগ্য ব্যক্তি নিয়োগ পান। তাদের সহায়তায় প্রকৃত শিক্ষকরা এমপিও থেকে বাদ পড়েন এবং নিয়মিত বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হন।তিনি বলেন, ‘ ভুয়া প্রভাষক ও উপজেলা তাতী লীগের সভাপতি মো. ইউনুস আলী এবং মোছা. নিলুফা ইয়াসমিনের যোগসাজশে আমাদের এমপিও কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে আমরা হাইকোর্টে ৮৮০৮/২১ ও ৯০০৮/২১ নম্বর রিট দায়ের করি। আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।’তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৫ সালের ১০ মে তারিখে দেওয়া প্রতিবেদনে মোছা. নিলুফা ইয়াসমিনের চাকরিকে অবৈধ ঘোষণা করে তার বেতন স্থগিত করা হলেও মো. ইউনুস আলী এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন এবং সরকারি কোষাগার থেকে বছরের পর বছর বেতন-ভাতা গ্রহণ করে আসছেন।’
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উপাধ্যক্ষ সাখাওয়াত হোসেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি যথাযথ তদন্তের আহ্বান জানান। পাশাপাশি ভুয়া নিয়োগ বাতিল, দোষীদের শাস্তি এবং বৈধ শিক্ষকদের বকেয়াসহ বেতন-ভাতা দ্রুত ছাড়ের দাবি জানান।সংবাদ সম্মেলনে সহকারী শিক্ষক দিল আফরোজ বেগম, আতিকুর রহমান, প্রভাষক হারুন অর রশিদ, প্রভাষক আলাউদ্দীন মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ভূরারঘাট এম.ইউ. বহুমুখী ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরেই এমপিও সংক্রান্ত জটিলতা এবং প্রশাসনিক অনিয়ম চলে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
বাতায়ন২৪ডটকম/শরিফুল ইসলাম।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved © batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com