পুলিশের এস আই দুলালে বিরুদ্ধে স্ত্রী ও সন্তানের পরকীয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
আজ ১১ই জুন বুধবার দুপুরে এসআই দুলালের বিরুদ্ধে স্ত্রী রেবেকা বেগম সংবাদ সম্মেলন করেন।
রেবেকা সুলতান তার লিখিত বক্তব্য বলেন,
লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ শিবের কুটি গ্রামের মৃত জসীমউদ্দীনের ছেলে দুলালের সাথে ১৯৯৯ সালে আমার বিয়ে হয়।
বিয়ের পরে আমার গর্ভে চারজন সন্তানের জন্ম হয়। সন্তানদের সাথে নিয়ে আমরা আমার স্বামীরগৃহে নিউ জুম্মাপাড়ায় সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলাম। কিন্তু ২০২১ সালের আমার প্রথম মেয়ের বিবাহের পর থেকে আমার স্বামীর আচরন বদলাতে শুরু করে।
তার এই আচরন বদলের কারন অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমি জানতে পারি আমার স্বামীর বাসার এক ভাড়াটিয়া ফাতেমা নামে এক মহিলার সঙ্গে আমার স্বামীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে।
এই বিষয়ে আমি ও আমার মেয়েরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি আমাকে তালাক প্রদানের হুমকি ও আমার ছেলে মেয়েদেরকে পিতৃ পরিচয় দিতে অপারগতা জানায়।
ওই মহিলার কারণে তিনি এক পর্যায়ে আমার সঙ্গে ও আমার ছেলে মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। আমি আমার পরিবারকে এই বিষয়ে অবহিত করিলে তারা পারিবারিকভাবে সমাধানের উদ্যেগ নেয়। কিন্তু পারিবারিক আলোচনায় তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে তিনি ঐ মহিলাকে ত্যাগ করতে পারবেন না। পরবর্তীতে আমি পরিবারের সম্মতি ও আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে থানায় মামলা করি যা আদালতে বিচারাধীন আছে। এ ছাড়া আমার স্বামীর নামে একটি যৌতুক ও ভরোন পোষনের মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে।
গত এপ্রিল/২০২৫ থেকে আমার স্বামী আমাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। সে আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে রাস্তায় নামানোর জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠে। ফলশ্রুতিতে গত ১৪ মে ২৫ইং বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে একটি উচ্ছেদ মামলা রজু করে। আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে বাড়ি থেকে বের করার উদ্দেশ্যে ভাড়াটিয়া লোকজন জড়ো করে।
এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদেরকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। এমতাবস্থায় আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
আমি আপনাদের মাধ্যমে আমার ও আমার পরিবারের নামে বাড়ী দখলের মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আমার ও আমার সন্তানদের ভবিষ্যত সহায়তা ও নিরাপত্তার জন্য আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহায়তা চাচ্ছি।
বর্তমানে এসাই দুলাল দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানায় কর্মরত আছেন।
বাতায়ন২৪ডটকম/শরিফুল ইসলাম।