স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রংপুর।।বাতায়ন২৪ডটকম
বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
আজ শনিবার সকালে রংপুর পুলিশ লাইন স্কুলের পাশে চিরিয়াখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।এসময় ৬ জন আহত হয়েছে।এর মধ্যে ওয়ালিউল্লাহ ইসলাম এবং আল আমিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উপস্থিত একাধিক ছাত্রশিবিরের শিক্ষার্থী বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থাকলে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে বাংলাদেশ ছাত্রশিবির রংপুরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হেল্পডেক্স বসানো হয়েছে।
সেখানে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করায় চিড়িয়াখানার কর্মচারীরা বাধা দেয় বিনামূল্যে সহযোগিতা করতে দেওয়া হবে না বলে কর্মচারীরা তাদের জায়গায় টাকার বিনিময়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে বলে। এক পর্যায়ে শিবিরের স্কুল বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়।
পরে ছাত্রশিবির সিন্ডিকেট ভেঙে দাও, টোকাইদের আস্তানা চিড়িয়াখানায় হবে না, অবৈধ টেন্ডার বাতিল কর বাতিল করো,আমার ভাই আহত কেন প্রশাসন জবাব চাই বলে একটি ঝটিকা মিছিল করে।
ছাত্র শিবিরের মহানগর সাহিত্য সম্পাদক জাহিদুর রহমান বলেন, সকাল সাড়ে নয়টার পরে জায়গা না পেয়ে এখানে আমরা হেল্প ড্রেস দিয়েছি। আমরা শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য মোবাইল মানিব্যাগ নিয়ে টোকেন দিচ্ছিলাম।
এর কিছুক্ষণ পরে ঠিকাদারের লোকজন এসে বলে এখানে দেয়া যাবে না। কিছুক্ষণ পরে তারা এসে ২০-২৫ জনের ব্যাগ মোবাইল মানিব্যাগ সহ আল আমিন এবং দবিরুল কে নিয়ে যায়।পরে তাদেরকে বেধড়ক পেঠানো হয়। পরে টাকা দিয়ে সমাধান করতে চাইলে আমাদের প্রচার সম্পাদক আতিক ভাই সেখানে উপস্থিত হয়। তাকেও বেধারক পেটানো শুরু করে সন্ত্রাসীরা।
বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের রংপুর মহানগরের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান বলেন, ছাত্রশিবির জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে হেল্প ডেস্ক খুলেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করার জন্য।আমরা এই হেল্প ড্রেস খুলতে দেবে না চিড়িয়াখানা ঠিকাদারের লোকজন। ফলে আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। মেহেদী নামের ছেলেটাকে আইডেন্টিফাই করেছি দেখা যাক প্রশাসন কি করে।
বাংলাদেশ ছাত্রশিবির রংপুর মহানগরের প্রচার সম্পাদক, আতিকুজ্জামান আতিক, সাধারণ শিক্ষার্থীরা দিগ্বিত ঘুরতেছে এ সময় ছাত্রশিবির এগিয়ে এসেছে। সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার আওতায় আনতে হবে এবং আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে আহত হয়েছে।
কোতোয়ালি থানা যুব বিভাগের মারুফ বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে সহযোগিতা করছে পরীক্ষার্থীদের। এদিকে সন্ত্রাসীরা টাকার বিনিময়ে হেল্প ড্রেস খুলেছে সাইকেল গ্যারেজে।ফলে আমাদেরকে তা করতে দেওয়া হবে না। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের কে হামলা করেছে এটি পরিকল্পিত ঘটনা।ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর কিনা সেটিও দেখতে হবে।
মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, মোবাইল রাখা নিয়ে ছাত্রশিবিরের সাথে একটি ঘটনা ঘটেছে। গ্যারেজের কিছু টোকাই ছেলেপেলে ছাত্রশিবিরের উপর হামলা করেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
বাতায়ন২৪ডটকম /রিয়াদ ইসলাম