এটিএম আজহারুল ইসলামের জন্মভূমি ও ইউনিয়নে জামাতের দোয়া মাহফিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রংপুর।।বাতায়ন২৪ডটকম 

লোহানীপাড়া মন্ডলের হাট হাফিজিয়া মাদ্রাসায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দোয়া ও এতিম শিশুদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা  করেন তার নিজস্ব জন্মভূমি ও নিজস্ব ইউনিয়ন লোহানীপাড়া জামাতের নেতাকর্মীরা।

রংপুর জেলার বদরগন্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের বাতাসন ডাক্তার পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। এটিএম আজহারুল ইসলামের পুরো নাম আবু তোরাব মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম। বাবার নাম ডাঃ নাজির হোসেন আহমেদ। তিনি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার বাতাসিওন গ্রামে ১৯৫২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। পেশায় তিনি ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইতিহাসে এম এ পাশ করেন।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতিষ্ঠাকালীন এই সভাপতির বাংলা, ইংরেজি এবং উর্দু ভাষাতে দক্ষতা রয়েছে।

এটিএম আজহার বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। তিনি দৈনিক সংগ্রামের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া, তিনি একাধারে মারুফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, রংপুরের আল-আমিন ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান, তামিরুল মিল্লাত ট্রাস্টের সদস্য, বদরগঞ্জ উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান, বদরগঞ্জ ইসলামী পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

উইকেপিডিয়া থেকে আরও জানা যায়, এটিএম আজহার ১৯৯৬ সালের জুন মাসে রংপুর-২ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ৮ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির বিজয়ী প্রার্থী হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ৬৬ হাজার ৯২৯ ভোট পান।

এরপর এটিএম আজহার ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে রংপুর-২ আসনের জন্য জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ছিলেন। তিনি ১৭ হাজার ৭৮৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। এরপর ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি রংপুর-২ আসন (বদরগঞ্জ এবং তারাগঞ্জ) থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ৩৬ হাজার ৫৮৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। বিজয়ী প্রার্থী জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মণ্ডল পান ১ লাখ ৬৬ হাজার ২৭১ ভোট।

উল্লেখ্য, একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ২২ অগাস্ট মগবাজারের বাসা থেকে আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে রংপুরে সংঘটিত গণহত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, নির্যাতনসহ ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধে তাকে মৃত্যুদণ্ড ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই তিনি রিভিউ আবেদন করেন, যেখানে ১৪টি যুক্তি তুলে ধরা হয়।

‎চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ তার আপিল শুনানির অনুমতি দেন। এরপর নিয়মিত আপিলের শুনানি শেষে ২৭মে রায় দেন আদালত, যেখানে তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়। ২৮ মে সকাল ৯.৪৫ মিনিটে পিজি হাসপাতাল থেকে মুক্তি পান

 সময় বক্তব্য রাখেন লোহানীপাড়া ইউনিয়ন  জামায়াতে সেক্রেটারি অনাবিল লোহানী জাদু তিনি বলেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ তাদের ক্ষমতার ১৭ বছরে জুলুম নির্যাতন গুম খুন আর অন্যায়ভাবে ফাসি দিয়ে বিরোধী মতকে দমনের যে পৈশাচিক ধারা শুরু করেছিলো তা যেন আর ফিরে না আসে এ জন্য দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

প্রধান অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আমীর মাওলানা কামরুজ্জামান কবির।তিনি বলেন আমাদের ভাই আমাদের উপজেলার গর্ব আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন। তার এই রাজনৈতিক সংকটময় জীবনে অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেনি তিনি ছিলেন আপোষহীন।

‎আরো উপস্থিত ছিলেন লোহানীপাড়া ইউনিয়ন জামাতের সভাপতি জনাব আতিকুর রহমান।  উপস্থিত ছিলেন হাফিজিয়া মাদ্রাসা সভাপতি জনাব সিরাজুল ইসলাম মাষ্টার।

বাতায়ন২৪ডটকম/রিয়াদ ইসলাম 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved © batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com