স্পেশাল করেসপনডেন্ট,রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
রংপুর র্যাবের ইয়াবার নাটক মামলা দিয়ে হয়নির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার।
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের মিলনায়তনে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার আসামির পিতা সাবেক ইউপি সদস্য সাবেদ আলী লিখিত বক্তব্য বলেন, আমার ছেলে মাদক মামলায় সাক্ষী হওয়ায় তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়েছে রংপুর র্যাব ১৩ এস আই রাসেল।
তিনি বলেন, গত ২০ এপ্রিল রবিবার রংপুর র্যাব-১৩ এস আই রাসেল সাহেব আমার ছেলে ঝন্টু মিয়াকে অনুমানিক বিকাল ৫টা ৪৯ মিনিটে আমার ছেলের মোবাইল ফোনে যাহার মোবাইল নাম্বার (০১৭২৮৮৬২৭৭৮) ফোন দিয়ে ২১ এপ্রিল দেখা করতে বলে যাহার একটি অডিও রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। আমার ছেলে দেখা করার জন্য সিও বাজার পার হয়ে গ্যাসের পাম্পের কাছে একটি চায়ের দোকানে তার ২ বন্ধুসহ অপেক্ষা করতে থাকে। এক পর্যায়ে র্যাব-১৩ এর এস আই রাসেল সাহেব এসে আমার ছেলের সাথে আলাপ আলোচনা চালিয়ে চা নাস্তা খাওয়ানোর ছলে কালক্ষেপন করতে থাকে। অন্যদিকে আরও ২টি মটর সাইকেল যোগে চার জন র্যাব সদস্য ওই স্থানে এসে আমার ছেলেকে মটর সাইকেল যোগে তুলে নিয়ে যায়। এর পরে আমার ছেলের বন্ধু রবিউল ইসলাম র্যাব-১৩ রংপুর অফিসে খোজ নিতে গেলে তারা জানিয়ে দেয় ওই নামে এখানে কাউকে আনা হয়নি। পরে রবিউল ইসলাম ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি অবগত করে আমার ছেলের খোঁজ জানতে চাইলে তারা র্যাব অফিসে কন্টোল রুমের নম্বর দেয়। কন্টোল রুম থেকে জানানো হয় সংশ্লিট ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী থানাতে খোঁজ নিতে। এর মধ্যই হাজির হাট থানা থেকে আমাকে মোবাইল ফোনে জানানো হয় আমার ছেলে র্যাব ইয়াবাসহ আটক করছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৩ এপ্রিল গংগাচড়া থানা পুলিশ আমাদের এলাকায় জুয়াদের ধরতে গেলে তারা ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়। তারপর পুলিশ চলে গেলে তারা আমার ছেলের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে আমার ছেলেকে মারার জন্য উদ্বর্ত্য হয়। সেখানে তারা সুযোগ পেলে আমার ছেলের জানমালসহ মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দিয়ে তার ক্ষতি করার হুমকি ধামকি দেয়। এই ঘটনায় গঙ্গাচড়া থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার ছেলে ঝন্টু মিয়া গংগাচড়া উপজেলার ৭নং মনেয়া ৯নং ওয়ার্ডের গ্রাম্য পুলিশের দীর্ঘদিন থেকে সুনামের সহিত চাকুরী করে আসছে। চাকুরী সুবাদে গাংগাচড়া থানা পুলিশ মনেয়া ইউনিয়নের মাদক ও চোরা চালান নিমূল্যের নিমিত্তে আমার ছেলে ঝন্টুর সহযোগিতা নিয়ে থাকে। আমার ছেলে থানা পুলিশকে তার পেশাগত দায়িত্ব পালনে তার সাধ্য মতে সহযেগিতা করে। সে থেকে ওই এলাকার প্রায় অর্ধ শতাধিক মাদক ও চোরা চালান মামলার উদ্ধার কালে আমার ছেলেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কাগজ কলমে স্বাক্ষী করেন। এ থেকে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আমার ছেলে ঝন্টু মিয়ার শত্রুতায় পরিনিত হয়। মাদক ব্যবসায়ীরা মিলে আমার ছেলেকে ফ্যাঁসানোর জন্য উঠে পড়ে লাগে। সেই থেকে আমার ছেরে ঝন্টু মিয়াকে ফ্যাঁসানোর জন্য মাদক কারবারিরা র্যাব সাথে কৌশলে ফ্যাঁসানোর চুক্তি করে।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন? কোন র্যাব/প্রশাসনের লোক যদি কাউকে দেখা করতে বলে সেখানে কোন অপরাধী মাদক দ্রব্যের নিয়ে হাজির হবে কি? এটি একটি মিথ্যা নাটক ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা। যার প্রতিকার আমি চাচ্ছি। মিথ্যা মাদক মামলার নাটক সাজিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি এর সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের বিচার ও শাস্তি দাবি করছি।
এসময় গংগাচড়া উপজেলার ৭নং মনেয়া ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান, আমির বাদশাহ, আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুর রশিদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে রংপুর র্যাব-১৩ এস আই রাসেলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। সেজন্য তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাতায়ন২৪ডটকম/শরিফুলিইসলাম।