সংবাদ শিরোনাম :
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মুজাহিদের পরিবারের পাশে সেনাবাহিনী পশ্চিমাঞ্চলে বন্ধ ১৭৫ টি ট্রেন,ভোগান্তিতে এক লাখ যাত্রী: বাড়তি চাপ সড়কে জ্বালানী তেলের পরিবহন মূল্য পুন:নির্ধারণ নিয়ে পাম্প ব্যবসায়ীদের সাথে ডিসির বৈঠক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা না দিয়েও ছাত্রলীগ নেত্রী পাস : তদন্ত কমিটি গঠন বেরোবিতে আবু সাঈদ হত্যার তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দল রংপুরে ভাতিজার লাঠির আঘাতে চাচার মৃত্যুর অভিযোগ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ স্লোগান সংবলিত লেখা বস্তায় চাল বিতরণ। গাইবান্ধায় ছাত্রদল নেতার বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত বিমানবন্দরে মাকে অভ্যর্থনা জানাবেন তারেক রহমান
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মুজাহিদের পরিবারের পাশে সেনাবাহিনী

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মুজাহিদের পরিবারের পাশে সেনাবাহিনী

 স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম

রংপুরের পীরগঞ্জের পাঁচগাছির পানেয়া গ্রামে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত  সৈনা সদস্য মুজাহিদের বাড়িতে সেনাবাহিনীর আর্থিক অনুদান ও উপহার সামগ্রী নিয়ে উপ¯ি’ত হন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) সদর দপ্তর মহাস্তান রেজিমেন্ট রাজশাহীর সেনা টিম। বুধবার বিকেল ৩ টায় জানাযা শেষে সৈনাবাহিনী পক্ষ থেকে মেজর মাশকুর রহমান রওনক নিহতের পরিবারে হাতে নগদ অর্থ ও  রেশন সামগ্রী তুলে দেন। এ সময় মেজর মাশকুর রহমান রওনক বলেন, মুজাহিদ নিহতের খবরে আমরা সেনা পরিবার শোকাহিত হয়েছি।

বাবা মার স্বপ্ন পূরণের আগেয় চলে গেলেন না ফেরার দেশে। মাতা মুক্তা বেগম ছেলের আকর্ষিক সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু মুজাহিদ। সৈনাবাহিনীর চাকুরীর প্রশিক্ষণ শেষে বাড়িতে আসে সৈনিক মুজাহিদ। ৭ই ফেব্রেয়ারী ২০০২৫শে চট্রগ্রামের সেনা ক্যান্টরমেন্টে যোগদান করার কথা ছিল সৈনিক মুজাহিদের। তার চাকুরীর যোগদানে দোয়ার অনুষ্ঠানে মামার বাড়ি রাধাকৃষ্ণপুর দাওয়াত দিতে যান মুজাহিদ। দাওয়াত দেয়া শেষে পীরগঞ্জে জামতলা মাদ্রাসার কোন এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে যান মুজাহিদ। দেখা শেষে গত সোমবার বিকেল বেলা পীরগঞ্জ মহাসড়কের তেলের পাম্পের কাছে দুইটি মটর সাইকেলের সংঘর্ষে নিহত হন সৈনিক মুজাহিদ।

মুজাহিদের জন্ম রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের পানেয়া গ্রামে। বাবা-মার দীঘদিনের স্বপ্ন  ছিল নিহত মুজাহিদ সেনাবাহিনীতে চাকুরী করেবে।  স্বপ্নের খুব কাছ-কাছি এসে স্বপ্ন পূরর্ণ না হওয়ায় মা কাঁদতে কাঁদতে নির্বাক হয়ে গেছে।

মা মুক্তা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলে ছেলে চাকুরীতে যোগদানে আমাদের বাড়িতে একটি উৎসব মত আনন্দ শুরু হয়েছিল। সেই আনন্দ এক দূর্ঘটনায় কেড়ে নিল।

বাবা আতোয়ার রহমান বলেন, আমি অন্যের বাড়িতে কামলা দিয়ে ছিলেকে বিএনসিতে  ভর্তি করে দেই। ছেলেকে নিয়ে আমার অনেক বড় স্বপ্ন ছিল। সেই বাবা আমার চাকুরীর সুখ না পেয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেল। আল্লাহ সুখ দিয়েও আমার সুখ কেড়ে  নিল।

 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved © batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com