মিঠাপুকুর প্রতিনিধি,রংপুর।।বাতায়ন২৪ডটকম
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ভালোবাসার অপরাধে কিশোরকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেছে।
প্রতিবেশি ও তাদের লোকজন। মারধর করে তাকে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল রোববার(২০ অক্টোবর)তাকে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আজ রোববার(২০ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে এলাকা বাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গামতি গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে রাজু মিয়া(১৬) অভাবের সংসারে বাবার সাথে কৃষিকাজে সহায়তা করে। সম্প্রতি প্রতিবেশি হাফিজুর রহমানের মেয়ের সাথে প্রেম-ভালোবাসার সৃষ্টি হয়।
কিন্তু এ ভালাবাসা মেনে নেয়নি মেয়ের পরিবার। এর জের ধরে গত শনিবার(১৯ অক্টোবর)বিকেলে নিজ বাড়ির সামনে থেকে মেয়ে পক্ষের লোকজন তাকে ধরে হাফিজুরের আঙ্গিনায় নিয়ে যায়। নিয়ে গিয়ে আম গাছের সাথে রশি দিয়ে শক্তভাবে বেঁধে ফেলে খালেক,করিম,রবিউল,সেহেরুল সহ ১৫ থেকে ২০ জন।
রাজুকে বেদম মারধর করে। মারপিটে এক সময় অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। সে অসুস্থ্য হলেও পুলিশ ডেকে এনে তাকে পুলিশে সোর্পদ করে।
রাজুর দাদি রেজিয়া বেওয়া(৮০)কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন মোর নাতিক আনি দ্যাও। বিনা দোষে ওরা ছইলট্যাক গরুর মতোন ডাংগাইলো। স্থানীয় বাসিন্দা রানা বেগম,বুলবুল মিয়া আবদুল লতিব মাহফুজা বেগম ও গাউছুল আযম বলেন ছেলেটার কোনো দোষ নাই। মেয়েটার সাথে তার ভালোবাসার সর্ম্পক ছিল। এই ভালোবাসার অপরাধে ছেলেকে ধরে নিয়ে তারা বেদম মারধর করেছে। হাফিজুর গায়ের জোরে লোকজন ভাড়া করে গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে।
মেয়েটির বাবা হাফিজুর রহমান বলেন মেয়েকে বারবার বিরক্ত করে আসছে রাজু। তাই তাকে ধরে একটু শাসন করা হয়েছে।
মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন ছেলেটিকে অনেক মারধর করা হয়েছে। তাকে এভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি। পরিস্থিরি কারণে তাকে থানায় নিয়ে ১৫১ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত পূর্বক পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাতায়ন২৪ডটকম