পীরগাছা প্রতিনিধি,রংপুর।।বাতায়ন২৪ডটকম
২০১৩ সালে হরতাল চলাকালে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও বাইসাইকেল চুরির ঘটনায় দুজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে শনিবার সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে চত্ত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে এই মামলার ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা আমীর মাওলানা মোস্তাক আহমেদ বলেন, তখন আমি পীরগাছায় ছিলাম না। আমরা চাই সকল প্রকৃত অপরাধীদের বিচার হউক।
এদিকে মানববন্ধনে রংপুর জেলা মক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আতিয়ার রহমান, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সেরাজুল ইসলাম প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার সুলতান আহম্মেদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উপজেলা সাধারন সম্পাদক রওশন জামিল, আবু মুছা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
শিবিরের সাবেক নেতা মো: রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, ২০১৩ সালের দশ জুলাই উপজেলার পশ্চিমদেবুতে হরতাল চলাকালে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা এতে বাঁধা দেন।একই সাথে দশটি ফনিক্স সাইকেল, হিরো রয়েল আটটি,বিএসএস সাইকেল দুইটি, সহ আমাদের নেতাকর্মীদের পোষাকের পকেট থেকেমোট ছয়টি বাটন মোবাইল ফোন যাদের মধ্যে নকিয়া –তিনটি,স্যামসাং-তিনটি,জোর পূর্বক ছিনিয়ে লয়। একই সাথে ফনিক্স সাইকেলে আগুন লাগিয়ে দিয়ে নৃত্য করেন।পকেটে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন এবং বাইকেল গুলো যার যার মত করে নিয়ে যায়। সেই সময় শিবির নেতা মাহমুদুলে সার্টের কলার ধরিয়া এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারা হয়েছে। একই সাথে গলাটিয়ে হত্যা করার নির্দেশ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল।
এই ঘটনার কারণে গত ১৩ অক্টোবর ২৬ জনকে আসামী করে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন পারুল সাবেক শিবির নেতা রোকনুজ্জামান রোকন।
ওই মামলায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওয়াজেদ আলী সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম সাবু হাজী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আসামী করা হয়। মানববন্ধনে বক্তাগণ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে।
বাতায়ন২৪ডটকম