স্পেশাল করেসপনডেন্ট,রংপুর।। বাতায়ন২৪ ডটকম।।
নীলফামারীতে গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজে দগদ্ধ দুই বোনের মধ্যে বড় বোরে সুইটি আখতার রংপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। ছোট বোনের অবস্থা আশংকাজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। অন্যদিকে নীলফামারী ইপিজেডে আরেকটি পৃথক ঘটনায় আরও ২ জন দগ্ধ হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মঙ্গলবার ( ২৯ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২ টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। একই ঘটনায় দগ্ধ তার ছোটবোন তাছফিয়ার অবস্থা আশংকাজনক। মৃত সুইটি নীলফামারী মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আর গুরতর আহত তায়ফিয়া একার ডোমার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসিপাশ করে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা ডোমারের বাবুল হোসেন ও ফাতিমা দম্পতির কন্যা। তারা নীলফামীর ইপিজেড মোড়ে রেজাউল করিমের বাসায় ভাড়া থাকতো। সেখান থেকে তারা ইপিজেডে কাজ করে পড়ালেখা করতেন। মঙ্গলবার সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার আগে রান্নার করার সময় সিল্ডিন্ডারে আগুন ধরানোর সময় লিকেজ থাকায় অগ্নিদগ্ধ হলে তাদেরকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় রংপুরে হাসপাতালে আনা হয়।
অন্যদিকে বেলা ১২ টার দিকে নীলফামারীর ইপিজেডের ভেতরে সনি বিডি লিমিটেডে ভেতরে মেশিনে বিষষ্ফোরণে হয়ে কর্মচারী লিটন চন্দ্র রায় ও রবিউল ইসলাম দগ্ধ হন। তাদেরকেও বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগের প্রধান ডা. শাহীন শাহ জানান, দগ্ধ সুইটি মারা গেছেন। তার ১০০ ভাগ বার্ন হয়েছিল শরীরে। তার ছোটবোন তায়ফিয়া ও শতভাগ বার্ন হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। এছাড়াও অপর ঘটনায় দগ্ধ লিটন ও রবিউলের ৩০ বার্ন হয়েছে। আমরা চিকিৎসা সেবা দেয়ার চেস্টা করছি।
বাতায়ন২৪ডটকম /রিয়াদ ইসলাম