মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে ২১৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের দুটি টেস্ট জিতে আইরিশদের ধবলধোলাই করলো স্বাগতিকরাা। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯১ রানে অলআউট হয়েছে সফরকারীরা।
পঞ্চম দিন ভালোই লড়াই করেছে আয়ারল্যান্ড। বিশেষ করে কার্টিস ক্যাম্ফার লড়াই চালিয়ে করেছেন ৭১ রান। শেষ পর্যন্ত তাকে আর আউট করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। আউট হয়েছেন তার সঙ্গে জুটি গড়া ম্যাকব্রাইন ও গেভিন হোয়ে।
সেই জুটি ভেঙে স্বাগতিক শিবিরে স্বস্তি ফেরান হাসান মুরাদ। ৩৭ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি দলীয় ২৯১ রানে। পরের বলেই বোল্ড হন ম্যাথু হাম্প্রেস। তাতেই নিশ্চিত হয়ে যায় ২১৭ রানের জয়।
জর্ডান নেইল ৩০ রান করেন ওয়ানডে মেজাজে। কিন্তু তাকে বোল্ড করে দলীয় ২৩৭ রানে থামিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তখন পতন হয় ৮ উইকেটের।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৪টি করে উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম ও হাসান মুরাদ। সমান একটি করে উইকেট মেহেদী হাসান মিরাজ ও খালেদ আহমেদের ঝুলিতে।
১ উইকেটে ১৫৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। উইকেটে ছিলেন সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক। সাদমান ৭৮ রান করে আউট হয়ে গেলে মাঠে নামেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু তিনি ৫ বল খেলে ১ রান করে আউট হয়ে গেলে মাঠে নামেন মুশফিকুর রহিম।
দলীয় ২৯৭ রানের মাথায় মুমিনুল হক আউট হয়ে যান। ১১৮ বলে ৮৭ রান করেন তিনি। এ সময় ৮১ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। নিজের শততম টেস্ট ম্যাচকে রানে রানে ভরিয়ে দিলেন মুশফিক।
জয়ের জন্য ৫০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পল স্টার্লিংয়ের উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ৯ রান করে আউট হন তিনি। ১৩ রান করে আউট হন অ্যান্ডি বালবিরনি। মোট কথা শুরু থেকেই তাইজুলের ঘূর্ণি তোপে পড়ে আইরিশরা। ১৯ রান করে হাসান মুরাদের বলে আউট হন কেড কারমাইকেল।
দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন হ্যারি টেক্টর। ৮০ বলে ৫০ রান করে আউট হন তিনি। লরকান টাকার ৭ রানে আউট হন। ১৫ রান করে আউট হন স্টিনে দোহেনি। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ১১ এবং কার্টিস ক্যাম্ফার ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।