স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রংপুর।। বাতায়ন ২৪ডটকম।।
সরকারী অর্থায়নে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে নেসকোর আওতাধীন এলাকায় প্রি- পেমেন্ট মিটার স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বুধবার (৬ আগষ্ট) দুপুর ১২ টায় রংপুর জেলা প্রশাসক হলরুমে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ফয়সাল আহমেদ। আরোও উপস্থিত ছিলেন হাবিবুর রহমান পরিচালক নেসকো, সাজ্জাদুর রহমান জেনারেল ম্যানেজার নেস্কো,মনির হোসেন নির্বাহী প্রকৌশলী স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট স্থাপন প্রকল্প রংপুর, আব্দুল মতিন নির্বাহী প্রকৌশলী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২,
“প্রিপেইড মিটার ব্যবহারে, বিদ্যুৎ খরচ আসবে নিয়ন্ত্রণে” এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে অবহিতকরণ সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন,
প্রিপেইড মিটার এবং পোস্ট পেইড মিটার উভয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ ও খরচ সমান। প্রিপেইড মিটারে ব্যবহার্য বিদ্যুতের বিপরীতে রিচার্জকৃত এনার্জির ওপর সরকার কর্তৃক প্রণোদনা হিসেবে ০.৫% রিবেট
(ছাড়) প্রদান করা হয়। প্রিপেইড মিটার সংযোগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জামানত লাগে না। পোস্ট পেইড মিটারের ন্যায় প্রিপেইড মিটারের অনুমোদিত লোডের বিপরীতে ডিমান্ড চার্জ কিলোওয়াট প্রতি মাসিক ৪২ টাকা হারে (আবাসিক গ্রাহকের ক্ষেত্রে) ও ভ্যাট ৫% নিয়ম অনুসারে কর্তন করা হয়।
বিতরণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরবরাহকৃত মিটারের ক্ষেত্রে প্রতিমাসে সিঙ্গেল ফেজ ৪০ টাকা ও থ্রি ফেজ ২৫০ টাকা হারে মিটার ভাড়া কর্তন করা হয়। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক/যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মিটার নষ্ট হলে সংস্থা কর্তৃক বিনামূল্যে মিটার বদলে দেয়া
হয়। গ্রাহক কর্তৃক সরবরাহকৃত মিটারের ক্ষেত্রে মিটার ভাড়া প্রযোজ্য নয়। ডিমান্ড চার্জ, ভ্যাট ও মিটার ভাড়া (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) কর্তনের পর অবশিষ্ট টাকার সাথে রিবেট যোগ হয়ে মিটারে এনার্জি ব্যালেন্স হিসেবে যুক্ত হয়।গ্রাহক আর্থিক সক্ষমতা অনুযায়ী প্রয়োজন মাফিক প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে পারেন। যেকোন সময় ও স্থান হতে অনলাইনে যেমন: বিকাশ/নগদ/রকেট/জিপি/রবি/উপায়/ডেবিট কার্ড/ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদির মাধ্যমে রিচার্জ করার সুযোগ থাকায় যাতায়াতের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হয়। এছাড়াও সংস্থার ভেন্ডিং স্টেশন, পস এজেন্ট ও ব্যাংক বুথের মাধ্যমেও প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করা যায়।
তাৎক্ষণিকভাবে মিটার থেকে এনার্জি ব্যালেন্স জানা যায়।
মিটারের ব্যালেন্স কমে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এলার্ম/নোটিফিকেশন প্রদান করা হয়।
প্রিপেইড মিটারের ব্যালেন্স ফুরিয়ে গেলেও গ্রাহক ফ্রেন্ডলি আওয়ার (বিকাল ৪ ঘটিকা থেকে পরদিন সকাল ১০ ঘটিকা পর্যন্ত), সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্রবার ও শনিবার) ও ইমার্জেন্সি ক্রেডিট ফ্যাসিলিটিজ ভোগ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের ব্যবহৃত ইউনিটের বিপরীতে অগ্রিম হিসেবে ইতোপূর্বে গৃহীত বকেয়া ব্যালেন্স হিসেবে মিটারে জমা হয়, যা পরবর্তী রিচার্জের সময় এনার্জি ব্যালেন্স হতে কর্তন হয়ে থাকে।
মিটারে এনার্জি ব্যালেন্স অবশিষ্ট থাকলে পরবর্তী মাসে মিটার রিচার্জ না করলে অবশিষ্ট ব্যালেন্স হতে “ব্যবহৃত এনার্জি খরচ কর্তন করা হয়। তবে জমাকৃত (অবশিষ্ট) ব্যালেন্স হতে ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া কর্তন করা হয় না। শুধুমাত্র প্রতিমাসের প্রথম রিচার্জে ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া কর্তন করা হয়। যদি কোন মাসে রিচার্জ করা না হয় তাহলে
পরবর্তী রিচার্জের সময় পূর্ববর্তী সকল মাসের অপরিশোধিত ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়ার সকল বকেয়া কর্তন করা হয়। উদাহরণ: আপনি একজন ০৩ (তিন) কিলোওয়াট ডিমান্ড সম্পন্ন সিঙ্গেল-ফেজ মিটার ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহক হলে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম রিচার্জে ৩০০০ টাকা রিচার্জ করলে রিচার্জে ভ্যাট ৫% হারে ১৪২.৮৬ টাকা, ডিমান্ড চার্জ হিসেবে (৪২x৩=) ১২৬ টাকা, মিটার রেন্ট হিসেবে ৪০ টাকা অর্থাৎ মোট ৩০৮.৮৬ টাকা কর্তনপূর্বক এবং ০.৫% হিসেবে রিবেট ১৪.০৯ টাকা যোগপূর্বক আপনি জানুয়ারি মাসে ব্যবহারযোগ্য এনার্জি ব্যালেন্স হিসেবে ২৭০৫.২৩ টাকা পাবেন। পরবর্তীতে একই জানুয়ারি মাসে আপনি যতবার আপনার প্রয়োজনে রিচার্জ করবেন ততবার রিচার্জকৃত টাকা হতে শুধুমাত্র ৫% হারে ভ্যাট কর্তন করা হবে। উক্ত জানুয়ারি মাস শেষে আপনার রিচার্জকৃত এনার্জি ব্যালেন্সে যদি টাকা জমা থাকে তাহলে ফেব্রুয়ারি মাসে এনার্জি ব্যালেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমবার রিচার্জের পরে জানুয়ারি মাসের ন্যায় ভ্যাট, ডিমান্ড চার্জ, মিটার রেন্ট কর্তনপূর্বক এবং রিবেট ও জানুয়ারি মাসের জমাকৃত এনার্জি ব্যালেন্স যোগপূর্বক ফেব্রুয়ারি মাসে আপনার এনার্জি ব্যালেন্স হবে। এই ধারাবাহিকতা প্রতিমাসে চলমান থাকবে।
“প্রিপেইড মিটারে আস্থা রাখুন, অপপ্রচার রোধ করুন”।
বাতায়ন ২৪ডটকম/শরিফুল ইসলাম।