স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
আজ রবিবার (১৩ই জুলাই) রংপুর নগরীর সিএনবি কার্যালয় সংবাদ সম্মেলন করেন পরিবারের লোকজন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিবারের পক্ষে লাইজু বেগম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন
আমরা একটি ভূমিহীন পরিবার। আমাদের ধন সম্বল বলতে মাথাগোজাবার ঠাঁই নাই। রংপুর সিটি কপোরেশন ভূক্ত লালবাগ চকিরহাট এলাকায় তাজহাট মৌজায় জেল নং-১৭, সিএস-১৭৮, এসএ খতিয়ান-নং ১৪৪, আর এস ১/১ জমির শ্রেণী দোকান সাবেক দাগ নং ৬৬, আর এস দাগ নং ৫৫০৮, জমির পরিমান ২ শতক, ৫৫১০ মাগে ২.৫০ শতকের এর মধে ১ শতক। মোট-তিন শতক। সৌরেন্দ্রনাথ আছে থেকে ১৯৯৭ সালে বায়না শুরুপ ৯০হাজার টাকা মূল্য নিদ্ধারণ করে তার মধ্যে ৫৫ হাজার টাকা নগদ প্রদান করে আমার শাশুড়ী মাহমুদা বেগম জমি ক্রয় করেন। জমির মূল মালিক সৌরেন্দ্রনাথ চন্দ্র অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার চিকিৎসার জন্য অবশিষ্ট বাকি টাকা নিয়ে লিখে দেয়ার আগেই মৃত্যু বরণ করেন। পরবর্তীতে সৌরেন্দ্রনাথ চন্দ্র কোন ওয়ারিশ না থাকায় সাব কবলা দলিল করা সম্ভব হয়নি। এমতাবস্থায় উক্ত আমি বাংলাদেশ সরকারের ১/১ খতিয়ানে অন্তরভূক্ত হয়। উক্ত জমি কারমাইকেল কলেজ নিজেদের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার নিমিত্তে স্থান্তরণ করার জন্য ১১ জুন২০২৩ নোটিশ প্রদান করেন। ওই নোটিশের পরিপেক্ষিতে আমার স্বামী মামুন মিয়া এ্যাডভোকেটের মাধ্যমে ২১ সেপ্টেম্বর২৩ জবার প্রনান করেন। কারমাইকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ নোটিশ প্রাপ্তির পর ক্ষিপ্ত হয়ে তড়িৎ গতিতে ভেকু গাড়ি দিয়ে আমাদের বাড়ি ও দোকান ভেদে দেয়। তখন আমার শাশুড়ী মাহমুদা বেগম রংপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে অন্য ৫৫১/২০২৩ মামলা করেন। মামলার নোটিশ প্রাপ্তির পর তড়িঘড়ি করে সীমানা প্রাচীর নির্মান করার চেষ্টা করেন। তথন আমারা ২৮/১১/২৩ ইং তারিখে অস্থায়ী নিষেজ্ঞার আবেদন করি। আদালত উক্ত জমিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান পূর্বক ৭ দিনের মধ্যে কারণ দশাইবার নোটিশ প্রদান করেন। একে কারমাইকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের সহযোগিতায় প্রাচীর নির্মানের কাজ শুরু করেন। তখন আমারা রংপুর প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন করি। উক্ত ঘটনা পুলিশ সাংবাদিকের মাধ্যমে বুঝতে পেরে তখন তারা সরে যায়। কিন্তু কারমাইকেল কলেজ চক্রান্ত থেকে সরে না গিয়ে কুট কৌশল চালাতে থাকে। এদিকে সিনিয়র জজ আদালতে মামলার শুনানী শেষে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মুঞ্জুর হয়। এবং মাহমুদাগংরা শান্তি পূর্ণ দখলে কেউ বেষাক্ত সৃষ্টি বা বে-দখল না করতে পারে আদালত এই আদেশ প্রদান করেন।
এই আদেশ থাকার পরেও রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যলয় থেকে সাভেয়ার আবু জাফর তাজহাট মৌজার করমাইকেল কলেজের ৬১ ও ৬৬ নং দাগে জমি পরিমাপ করার জন্য মাহমুদা বেগমকে ২৪/৩/২৫ ইং তারিখে নোটিশ প্রদান করেন। আবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল স্বাক্ষরিত ২৩/০৬/২৫ ইং তারিখে উচ্ছেদের জন্য নোটিশ প্রদান করেন। ওই নোটিশের পরিপেক্ষিতে আমার শাশুড়ী এ্যাডভোকেট মাধ্যমে উক্ত নোটিশে সিনিয়র জজ আদালতে চলমান মামলা অন্য ৫৫১/২৩ আছে মর্মে ২৯/০৬/২৫ তারিখে জবাব প্রদানে উল্লেখ করেন। জবাব প্রাপ্তির পরে ৩০/০৯/২৫ ইং তারিখে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আমাদের বসতবাড়ি খাবারের হোটেল ভাংচুর করে উচ্ছেদ করে দেয়। আদালতে মামলা চলমান থাকা এবং নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও জেলা প্রশাসন কি ভাবে বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয় তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা পরে পর্যালোচনায় দেখতে পারি এসএ খতিয়ান ১৯৫৮ কারমাইকেল কলেজ কিন্তু আমার শাশুড়িকে ৯৫৮ দাগে দিয়ে নোটিশ দিলে ভাংচুর করে। কিন্তু আমাদের এসএ খতিয়ান ১৪৪, আর দাগ নং- ৬৮। এতে করে আমার পরিবারে অপূরনীয় ক্ষতি সাধন করে। আমরা বর্তমানে যাযাবরের মত বসবাস করছি। আপনাদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক অফিস তদন্ত করে সঠিক জায়গা নিদ্ধারণ করে আমাদের জায়গা এবং বসতবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরীর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নাইজু বেগমের শাশুড়ি মাহমুদা বেগম, স্বামী মামুন মিয়া, ফুফু সুলতানা রাজিয়া।
বাতায়ন ২৪ ডটকম/শরিফুল ইসলাম।