সংবাদ শিরোনাম :
রংপুরে সরকারী পতিত জমিতে কবর স্থান ও ঈদগাহ মাঠ বরাদ্দ: মুসুল্লিদের দোয়া ‎শিক্ষক-ছাত্রী কণ্ঠসদৃশ অডিও ফাঁস বেরোবিতে কুপ্রস্তাবের শর্তে ছাত্রীর সিজিপিএ বৃদ্ধি। ‎ ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকদের উপস্থিতি পত্রে শেখ মুজিবের ছবি বাংলা নব বর্ষবরণে প্রস্তুত রংপুর মহানগরী, ৪ স্তরের নিরাপত্তা বলয় রংপুরে টেলিমেডিসিন সেবা শুরু করলো কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ নতুন শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ল ৩৩ শতাংশ এক যুগ পর কারমাইকেল কলেজের ক্যান্টিন চালু গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে রংপুরে জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ প্রাণনাশের আতঙ্ক, সালমনের ছবি তোলা যাবে না! বিমানবন্দরে ঘটল কোন কাণ্ড? গংগাচড়ায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকদের উপস্থিতি পত্রে শেখ মুজিবের ছবি

করেসপন্ডেন্ট রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।। 

‎রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকদের উপস্থিতি পত্রে মুজিববর্ষের লোগো ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

‎বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকালে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে কবি হেয়াত মাহমুদ ভবনের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরীক্ষার রিজার্ভ ডিউটির তালিকায় দেখা গেছে, আওয়ামীপন্থি শিক্ষক ড. পরিমল চন্দ্র বর্মন ও নীল দলের প্রতিষ্ঠাতা ড. আপেল মাহমুদসহ পাঁচ শিক্ষকের তালিকায় শেখ মুজিবের জন্ম শতবার্ষিকীর লোগো রয়েছে। বিষয়টি শিক্ষকদের নজরে এলে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে সঙ্গে সঙ্গেই তালিকাটি সরিয়ে নেয়া হয় এবং বাকি তিনটি ভবনের শিক্ষকদের ডিউটির তালিকায়ও বঙ্গবন্ধুর লোগো থাকায় সেগুলোও সরিয়ে ফেলা হয়।


‎তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাফতরিক ও ভর্তি পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে এখনও শেখ মুজিবের লোগো থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন জুলাই আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।

‎এ ছাড়া একই দিন শনিবার সকালেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাতেও একই লোগো সংবলিত শিক্ষকদের রিজার্ভ ডিউটির তালিকা ও সব ভবনে সরবরাহ করা হয় বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, শেখ মুজিবের লোগো সংবলিত সবগুলো উপস্থিতি পত্রে শিক্ষকরা স্বাক্ষরও করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাগজে এখনও এ লোগো দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি পন্থি কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা । অনতিবিলম্বে ওই সব উপস্থিত পত্র বাতিল করারও দাবি জানান তারা। বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়।

‎তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাফতরিক ও ভর্তি পরীক্ষার মতো কাগজপত্রে এখনও শেখ মুজিবের লোগো থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন জুলাই আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।

‎বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সকালের পরীক্ষাটির সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশনস সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ও আওয়ামীপন্থি নীল দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. আপেল মাহমুদ। এর আগে তিনি আবু সাঈদ বই মেলা কমিটিতে থেকেও বিতর্কের মুখে পদত্যাগ করেন।

‎জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কট্টর আওয়ামীপন্থি শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ড. আপেল মাহমুদ ছাত্র জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহসীন হলে ছিলেন। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ছিলেন সক্রিয়। ক্যাম্পাসে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েই ২০১৪ সালে নীলদল প্রতিষ্ঠা করে নিজেই সভাপতি হন। এরপর হয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে রয়েছেন কার্যকরী সদস্য পদে। এ ছাড়াও নীল দলের প্যানেলে থেকে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ২০২৩ সালে জয়লাভও করেন তিনি।

‎এ বিষয়ে ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষক জানান, অনুষদে সিনিয়র শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও বারবার উপাচার্য বিতর্কিত আওয়ামীপন্থি শিক্ষক আপেলকেই দায়িত্ব দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পরীক্ষায়ও এ শিক্ষককে দায়িত্বে রাখা হতে পারে।

‎এ বিষয়ে আপেল মাহমুদ বলেন, আমার দায়িত্ব ছিল শুধু যোগাযোগ করা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে টিম আসছে তাদের সঙ্গে থাকা। রাজশাহী টিমের যাবতীয় সব কিছু আমি দেখাশোনা করছি। তাদের নিরাপত্তা, কেন্দ্র ভিজিট, খাওয়া ইত্যাদি আমার দায়িত্ব ছিল। এখানে ফোকাল দায়িত্বে ছিলেন ফেরদৌস স্যার। এখানে কাজের সুবিধার জন্য কয়েকটি উপ-কমিটি করা হয়েছে।

‎এ বিষয়ে জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় ভূমিকা রাখা শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন বলেন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ সাধনের জন্য যখন দল মত নির্বিশেষে কাজ করছে তখনও পরাজিত শক্তি বিভিন্নভাবে সেটিকে প্রতীয়মান করে যাচ্ছে, এটি তারই বহিঃপ্রকাশ। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

‎অপরদিকে বেরোবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল আমিন বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করেছি, কিন্তু তারপরও বেরোবি থেকে ফ্যাসিবাদ এবং তার দোসরদের দূর করতে পারিনি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা প্রমোশন পাচ্ছে। প্রশাসন বারবার আওয়ামীপন্থিদের সুবিধা দেওয়ায় আমাদের মধ্যেও সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। আমরা দলীয়ভাবে প্রশাসনকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্মারকলিপি দেবো।

‎এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকত আলী বলেন, এমন একটা ঘটনা শুনেছি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

বাতায়ন২৪ডটকম/রিয়াদ ইসলাম 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved © batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com