সংবাদ শিরোনাম :
রংপুরে ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন। রংপুরে বাসা থেকে আইনজীবীর মরদেহ উদ্ধার আন্দোলনের মুখে ওএসডি রমেক অধ্যক্ষ ডা. মাহফুজ, আন্দোলন প্রত্যাহার ‘আগে ডিসিই হতেই পারি নাই, এখন ডিসিদের চালাবো। সাহস করে দায়িত্ব নিয়েছি’ নির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী আলুবীজ পাচ্ছেন না রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা বেরোবির পাঠ্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গনঅভ্যুত্থানের ইতিহাস বেরোবিতে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ উপাচার্য আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৭ জনকে এজাহারে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ রংপুরে টিকটক করার সময় ট্রেনে ধাক্কা খাওয়া যুবক অলৌকিকভাবে বেঁচে আছেন।। নীলফামারীতে ট্রাকের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
এক মাদরাসায় একই পরিবারের ৫ জন

এক মাদরাসায় একই পরিবারের ৫ জন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নীলফামারী।। বাতায়ন২৪ডটকম। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মাগুড়া মুন্সিপাড়া দাখিল মাদরাসা নামে এক প্রতিষ্ঠানে একই পরিবারের ৫ জনের চাকরি হওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে।এতে সাবেক সভাপতি সামসুল হকের পরিবারের ৫ ও বর্তমান সুপার রফিকুল ইসলামের ভগ্নিপতি কর্মরত আছেন।

সোমবার ( ২৩ সেপ্টেম্বর)বিকালে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমি হক।এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর এলাকাবাসীসহ শিক্ষার্থীরা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সামসুল হকের স্ত্রী বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী শরিফা বেগম, সভাপতির ছোট ভাইয়ের স্ত্রী এবতেদায়ী শিক্ষক বাবলী বেগম, সভাপতির চাচাতো ভাই নিরাপত্তা কর্মী মোসাদ্দেক হোসেন, সভাপতির আরেক চাচাতো ভাই ল্যাব সহকারী মোতাব্বের হোসেন,সভাপতির ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আয়া কাজুলী বেগম ও সুপার রফিকুল ইসলামের ভগ্নিপতি কম্পিউটার অপারেটর ইউসুফ আলী।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক সভাপতি সামসুল হকের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কাজুলি বেগমকে আয়া পদের জন্য ১০ শতক জমি ও নগদ তিন লক্ষ টাকা,সভাপতির চাচাতো ভাই মোসাদ্দেক নিরাপত্তা কর্মী ও মোতাব্বেরকে ল্যাব সহকারীসহ দুইজনকে বাইশ লক্ষ নিয়ে নিয়োগ দেন। এছাড়াও ওই বিদ্যালয়ে পরিছন্নতা কর্মী হিসেবে আট লক্ষ টাকার বিনিময়ে হারুন অর রশীদ ও গবেশনাগার সহকারী হিসেবে ফারুক হোসেনের থেকে বারো লক্ষ টাকার বিনিময়ে সাবেক সভাপতি সামসুল হক ও সুপার রফিকুল ইসলাম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে নিয়োগ প্রদান করেন।

আরও উল্লেখ করা হয়,বিদ্যালয়ের জন্য পারফাম্যান্স বেডজ গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউট স্কিম এর জন্য বিতরণকৃত অর্থ দূর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে মাগুড়া মুন্সিপাড়া দাখিল মাদরাসার সুপার রফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি দূর থেকে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাকরি করি, নিয়োগের বিষয়ে সেই সময়ে সাবেক সভাপতি ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছিলেন সবাই মিলে নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে একই পরিবারের পাচজন কর্মরত আছেন সেটা সত্যি,তবে মেধা অনুযায়ী তাদের নেওয়া হয়েছে। স্কুলের বরাদ্দকৃত কোন টাকা আত্মসাৎ করা হয়নি সব ভাউচার অনুযায়ী খরচ করেছি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলমান আছে প্রতিবেদন আসলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নীলফামারী।। বাতায়ন২৪ডটকম। 

 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved © batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com