লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি রাখাল সবুজ মিয়ার লাশ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে নাজিরগোমানী সীমান্তে পতাকা বৈঠকে তার লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।
এর আগে একই দিন ভোরে পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের শমসের নগর সীমান্তের ৮৬৪ ও ৮৬৫ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি জায়গায় ভারতের অভ্যন্তরে তাকে গুলি করে বিএসএফ। নিহত সবুজ মিয়া ওই এলাকার পচাভান্ডার গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
সীমান্তবাসী ও বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানায়, শমসের নগর সীমান্তের পেইন পিলার ৮৬৪ এর ৫ নম্বর সাব পিলার এলাকা দিয়ে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গরু আনতে যান রাখাল সবুজ মিয়া। এ সময় ভারতের ১৬৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চেনাকাটা ক্যাম্পের সদস্যরা ভারতের অভ্যন্তরে গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সবুজ। পরে তার লাশ টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
পরে বিজিবির আহ্বানে পতাকা বৈঠকে সাড়া দিয়ে আলোচনা শেষে তার লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ। সবুজের লাশ তার বড়ভাই আরিফ মিয়া বিজিবির কাছ থেকে গ্রহণ করে। এ সময় ভারতীয় বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ এবং বিজিবি ও পাটগ্রাম থানা পুলিশ উপস্থিত ছিল।
বিজিবি-৬১ ব্যাটালিয়নের শমসের নগর বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পতাকা বৈঠকে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে এ ঘটনার পুনারাবৃত্তি না ঘটার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাশ হস্তান্তর করে। বিজিবি-৬১ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার আবুল কাসেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।