স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রংপুর।।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। ২০১৯ সালের এই দিনে তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গসংগঠনসমূহ দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সকালে ঢাকার কাকরাইলের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কোরআন খতম অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টায় পার্টি কার্যালয় চত্বরে এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিকেল ৪টায় আলোচনা সভা শেষে বের করা হবে শোকযাত্রা।
রংপুরেও দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় পার্টি। দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির জানান, ইতোমধ্যে পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা রংপুরে উপস্থিত হয়েছেন।
রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের দলীয় কার্যালয়ে সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে কোরআন তিলাওয়াত প্রচার করা হয়। এছাড়া সকাল ১১টায় এরশাদের পল্লী নিবাসস্থ সমাধি চত্বরে দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, কবর জিয়ারত ও তবারক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
বাদ আসর রংপুর নগরীর বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় বিশেষ দোয়া মাহফিলেরও আয়োজন করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ২০ মার্চ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে তাঁর নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটা শহরে। পরে তাঁর পরিবার রংপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে।
এদিকে ঢাকার বারিধারার ডিপ্লোমেটিক জোনে প্রেসিডেন্ট পার্কে এরশাদের পুত্র এরিক এরশাদের আয়োজনে আজ পৃথক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদও অংশ নিচ্ছেন। জানা গেছে, তিনি অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নতুন বার্তা দিতে পারেন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাংলাদেশে সামরিক শাসনের পর ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাতায়ন২৪ডটকম/শরিফুল ইসলাম।