স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
ঢাকা ও খুলনায় নৃশংসভাবে দুইজনকে খুন করার প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এসময় ‘মানুষ মারার অধিকার, কে দিলো রে জানোয়ার’ শ্লোগানে শ্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে রংপুরের রাজপথ।
শনিবার বেলা ১১ টা থেকে নগরীর জিলা স্কুলের সামনে জড়ো হতে থাকেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বেলা সোয়া ১২ টায় বৈছাআ মহানগর আহবায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি ও জেলা আহবায়ক ইমরান আহমেদের নেতৃত্কে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর কাচারী বাজার, পুলিশ লাইন্স মোড়, টাউন হল, নগর ভবন, জেলা পরিষদ সুপারমার্কেট মোড়, পায়রা চত্বর, জাহাজকোম্পানী মোড়, প্রেসক্লাব গ্রান্ড , জীবন বীমা মোড়, দাবানল মোড়, গ্রান্ড হোটেল মোড়, শাপলা চত্বর, খামার মোড়, লালবাগ হয়ে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা ‘ মানুষ মারার অধিকার, কে দিলো রে জানোয়ার ‘ ‘ চাঁদাবাজি রাজনীতি একসাথে চলে না।’ ‘ চাঁদাবাজদের আস্তানা এই বাংলায় হবে না ‘ ‘ যুবদল মানুষ মারে, ইন্টেরিম কি কর ‘ বলে শ্লোগান দিতে থাকে। পরে আবু সাঈদ চত্বরে সমাবেশ করে তারা।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ত্বাহা ফাতেমা হাসান বলেন, ‘ আমরা জানি গত বছর জুলাইতে কি হয়েছে। আমরা ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদকে এক নিঃশ্বাসে ধুলিস্মাত করে দিয়েছি। সেই অরাজকতা আবার শুরু হয়েছে। আমরা ভুলে যাচ্ছি যে ছাত্র-জনতা এখনও রাজপথ ছাড়ে নি। তারাকিভাবে মনে করছে একটা মানুষকে এভাবে হত্যা করা যায়। তারা চাঁদা নিক। কিন্তু চাঁদা নেয়ার পরেও তাদের যে নৃশংসভাবে খুন করেছে। সেটা কখনই কাম্য নয়। আমরা এই অরাজকতা এবং এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দ্রত এর চরম শাস্তি চাচ্ছি। সেজন্যই আবারও মাঠে নামা।’
মিছিলে অংশ নেয়া রংপুর বেগম রোকেয়া কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার নওশিন জানান, ‘গতকাল আমরা দেখলাম ফেসবুকে খুবই ভাইরাল হয়েছে আমাদের একজন ভাইকে হত্যা করা হয়েছে নির্মমভাবে। আমরা তার জন্যই রাস্তায় নেমেছি। আমরা দেখাতে চাই। আমরা স্টুডেন্টরা এখনও রাজপথ ছাড়ি নাই। আমরা চাই এই হত্যার দ্রুত বিচার । ইন্টিরিমকে দেশের অরাজকতা তৈরিতে যারা ব্যস্ত তাদের নিবৃত করতে কঠোর আইনের প্রয়োগ করতে হবে। ‘
অংশ নিয়ে মহানগর বৈছাআর আহবায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি বলেন, ‘ আমরা দেখতে পাচ্ছি নতুন করে বাংলাদেশে অরাচকতা চলছে। ঢাকায় পাথর মেরে হত্যার পর লাশের উপর উল্লাস এবং খুলনায় খুনের পর রগ কেটে দেয়ার যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই নৃশংস কাজে জড়িত আমাদের একটি রাজনৈতিক দল বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদলের নেতাকর্মীরা জড়িত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নতুন বাংলাদেশে কোন চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না, কোন নৃশংসতাকারীর ঠাঁই হবে না। সেকারণেই ২৪ এর বিপ্লবের যোদ্ধারা আমরা আবারও রাস্তায় নেমে এসেছি। আমরা রাজপথে থাকবো। এই নৃশংসতার দায় ইন্টিরেমি এড়াতে পারে না। তাই জড়িতদের ব্যাপরে পরিপুর্ন তদন্ত করে জনসম্মুখে নিবাচর নিশ্চিত করতে হবে। ‘
অংশ নেয়া বৈছাআ জেলা আহবায়ক ইমরান আহমেদ বলেন, ‘ আমরা বাস্তবে প্রত্যক্ষ করলাম,৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ের বাংলাদেশে এই মধ্যযুগীয় বর্বরতা।আমরা ইন্টেরিমকে বলতে চাই। আপনারা স্পেসিক্যালি কোন দলকে ভয় পান কিনা। যদি ভয় পেয়ে থাকেন, সেটা স্বীকার করুণ। ছাত্র-জনতা কোন দলকে ভয়পায় না। বাংলাদেশের ১৭ বছরের স্বৈরাচারকে তারা হটিয়েছে। তারা নতুন করে আর কোন স্বৈরাচার হতে দেবে না। এই হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে আমরা নেমেছি। ইন্টেরিমকে আমরা এটাও অভয় দিতে চাই। নির্ভয় দিতে চাই। ছাত্র জনতা যে কোন সংকটে দেশের পাশে আছে। ইন্টেরিমের পাশে আছে
বাতায়ন২৪ডটকম/শরিফুল ইসলাম।