স্টাফ করেসপনডেন্ট।।বাতায়ন ২৪ডটকম
রংপুরের বদরগঞ্জ বিএনপির দু গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র বিএনপি নেতা লাভলু মিয়াকে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যার প্রতিবাদে খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানব বন্ধন করেছে স্বজন ও এলাকাবাসি।
শনিবার দুপুরে বদরগজ্ঞের মধূপুরের পাকার মাথা এলাকায় হাজার হাজার নারী পুরুষ বিক্ষোভ ও মানব বন্ধনে অংশ নেয়। মানব বন্ধনে নিহত লাভলু মিয়ার স্ত্রী কন্যা লাবনী বেগম ও এক মাত্র ছেলে রায়হান কবীর অন্যান্য স্বজন সহ এলাকাবাসির সাথে অংশ নেয়।
সমাবেশে নিহত লাবলু মিয়ার ছেলে হত্যা মামলার বাদী রায়হান কবীর অভিযোগ করেন সন্ত্রাসীরা আমার বাবা বিএনপি নেতা লাবলু মিয়া নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করার ৮ দিন অতিবাহিত হবার পরেও পুলিশ প্রধান আসামী শহিদুল হক মানিক তার ছেলেসহ খুনিদের কাইকেও গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
তিনি বলেন আমার সন্দেহ খুনিদের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এস আই বিদ্যুত কুমার সাহা। সে কারনে ৮ দিনেও খুনিদের গ্রেফতার করা হচ্ছেনা। সমাবেশে একমাত্র কন্যা লাভলী বেগম অভিযোগ করেন রাজনীতি করা কি অপরাধ যে জন্য আমার বাবাকে কুকুরের মতো নিষ্ঠুর ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হলো।
৮ দিন পরেও কেন আসামীদের গ্রেফতার করা হচ্ছেনা , পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারে কোন তৎপরতা দেখছিনা আমরা সমাবেশে নিহত লাবলু মিয়ার স্বজন মোশারফ হোসেন বলেন আমরা খুুনিদের গ্রেফতার চাই দ্রুত বিচার করে ফাঁসি চাই।
সমাবেশে এলাকাবাসির পক্ষে হুমায়ুন কবীর মানিক অভিযোগ করেন হত্যা কান্ডের পর বদরগজ্ঞ থানার ওসি আতিকুর রহমান , মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা বিদ্যুত কুমার সাহাদের কর্মকান্ডে আমরা সন্দিহান তারা আদৌ আসামীদের গ্রেফতার করবে কিনা।
তিনি ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম ঘোষনা করে বলেন এর মধ্য খুনিদের গ্রেফতার করা না হলে বদরগজ্ঞ থানা ও ইউএনও অফিস ঘেরাও করা হবে ।
উল্লেখ্য গত ৫ এপ্রিল রংপুরের বদরগজ্ঞ উপজেলা সদরে বিএনপির দু গ্রুপে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মধুপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা লাবলু মিয়াকে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় বিএনপি নেতা শহীদুল হক মানিক তার ছেলে সহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বদরগজ্ঞ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের ছেলে রায়হান কবীর। ৮ দিন অতিবাহিত হবার পরেও পুলিশ খুনিদের কাউকেই গ্রেফতার করছেনা বলে অভিযোগ স্বজন ও এলাকাবাসির।
বাতায়ন ২৪ডটকম/রিয়াদ