সংবাদ শিরোনাম :
‎বিভাগীয় শহর হলেও বি গ্রেড হিসেবে চলছে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম। ‎শ্যামপুর চিনিকল চালুর সিদ্ধান্ত, ভূতুড়ে জনপদে প্রাণের ঢেউ ‎আবু সাঈদের বাবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ১৪ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বেরোবি, খোলা থাকবে হল জাতিকে মেধাশূন্য করতেই ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড’ বদরগঞ্জে সাবেক এমপি ও মেয়রের বাসায় পুলিশের অভিযান, নিষিদ্ধ সংগঠনের তিন নেতা গ্রেপ্তার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল, ভারতীয় পণ্য-মিডিয়া বর্জনের ডাক আলেমা খাতুন মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন সাংবাদিকের মা-কে পেটানোর আসামীরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। রংপুরে ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন।
‎বিভাগীয় শহর হলেও বি গ্রেড হিসেবে চলছে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম।

‎বিভাগীয় শহর হলেও বি গ্রেড হিসেবে চলছে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম।

রংপুর প্রতিনিধি,বাতায়ন২৪ডটকম

‎প্রতিষ্ঠার প্রায় ১৫০ বছরেও বি গ্রেড হিসেবে চলছে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম। চলে গেছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমল। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়েছে। জেলা থেকে রংপুর বিভাগ হয়েছে।

‎কিন্তু উন্নয়নবঞ্চিত স্টেশনটি অবহেলা আর উপেক্ষায় দিন দিন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। রয়েছে নিরাপত্তাঝুঁকিও। অবাধে ছিনতাই, চুরি, মাদক সেবন ও বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে ক্ষোভ বেড়েছে মানুষের মনে।

‎রংপুর রেলওয়ে স্টেশন ১৮৭৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৪ বড় ধরনের সংস্কার হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ১৪৬ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত স্টেশনটিতে ৮০ বছরে উন্নয়ন বলতে প্ল্যাটফরম উঁচু করা আর কিছু অংশে বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি করাই উল্লেখযোগ্য।

‎প্ল্যাটফরমের ত্রুটিতে স্টেশনের যাত্রীদের ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার দৃশ্য অনেক। এ স্টেশনে তিনটি প্ল্যাটফরম থাকলেও একটি থেকে অন্যটিতে যেতে নেই কোনো উড়াল সেতু।

‎ফলে খোলা রেললাইনের ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়েই ট্রেনে ওঠানামা করতে হয় যাত্রীদের। দিন দিন যাত্রীসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকির আশঙ্কাও বেশি। স্টেশনের চারদিক এখনো খোলা। পুরো অরক্ষিত স্টেশনে রাত হলে মাদকসেবী ও অপরাধীদের আড্ডা বসে। ভাসমান মানুষের অবাধ বিচরণ।

‎বিভাগীয় শহরের এ স্টেশনে যাত্রীদের বিশ্রামাগার ও শৌচাগারের অবস্থাও শোচনীয়। একটিমাত্র টয়লেটের সামনে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় সব শ্রেণির যাত্রীদের। নারী-পুরুষকে হয়রানির শিকার হতে হয়।

‎ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ স্টেশনের দৃশ্যমান উন্নয়নের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। গত ৬ অক্টোবর বুড়িমারী থেকে ছেড়ে পার্বতীপুরগামী লোকাল এলআর ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন তাঁরা।

‎তাঁদের দাবি স্টেশনটিতে পদে পদে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্টেশনটিতে নেই পৃথক যাত্রীছাউনি, নেই পারাপারের জন্য ফুট ওভারব্রিজ, দ্বিতীয় প্ল্যাটফরমে যাতায়াতের ব্যবস্থা ও সীমানাপ্রাচীর।

‎২০২১ সাল রেলস্টেশনের একটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। তবে শুধু প্ল্যাটফরম উঁচুকরণ ছাড়া কোনো কাজ হয়নি।

‎বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের সমন্বয়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি বলেন, ‘প্রতিদিন রংপুর থেকে মানুষ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে। রেলভ্রমণ তুলনামূলক নিরাপদ হলেও রংপুরের মতো জেলায় রেলওয়ে স্টেশনসহ রেলপথে যোগাযোগব্যবস্থার তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি।’

‎সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রংপুর মহানগর সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, ‘যেখানে কাউনিয়া উপজেলার স্টেশনটি এ গ্রেডের, সেখানে রংপুর জেলা স্টেশনটি বি গ্রেডের, এটি মেনে নেওয়া কষ্টকর।’

‎স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট শংকর গাঙ্গুলী জানান, রংপুর স্টেশনের যাবতীয় উন্নয়নকাজের বরাদ্দ পাস হয়েছে কয়েক মাস আগে। কিন্তু হঠাৎ সরকার পরিবর্তনের পর এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কাজগুলো থমকে আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ছাত্র-জনতার দাবির বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে।

বাতায়ন২৪ডটকম

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved © batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com