বিবিসি বাংলা, ঢাকা।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির সরকারি সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে যে ব্যাপক আলোচনা চলছে, সে প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেছেন, “ভারতে দূর্গাপুজা উপলক্ষ্যে (ইলিশ পাঠানোর) বিশেষ অনুরোধ ছিল। তার প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধে এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোন সম্পর্ক নেই।”
তিনি বলেছেন, ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নয়।
রোববার তিনি সচিবালয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, “আমাদের প্রতিশ্রুতি আগের মতোই আছে যে, আমরা যেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য ইলিশের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে পারি। আগে দেশের মানুষ ইলিশ খাবে, পরে রপ্তানি হবে।”
এর আগে ভারতে এ মৌসুমে ইলিশ রপ্তানি হবে না – অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এমন বক্তব্য দেয়ার মাস খানেকের মধ্যেই সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
শনিবার ২১শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সরকার ভারতে দূর্গাপূজার সময়ে তিন হাজার টন ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
সরকারি সিদ্ধান্তের পর কোথাও কোথাও বাজারে ইলিশের দাম বেড়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে, যার সমালোচনা করেছেন ফরিদা আখতার।
তিনি বলেছেন, “ভারতে এখনও ইলিশ যায়নি, মাত্র সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখনো কাগজে আছে। এর ফলে বাজারে যদি ইলিশের দাম বাড়ে, সেটা উচিত হবে না।”
“রপ্তানির সিদ্ধান্তের পর ইলিশের দাম বেড়ে গেলে সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবে মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।”
তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছর দেশে ইলিশ উৎপাদন হয়েছে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন।
“রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়েছে তিন হাজার টন। এরমধ্যে আসলেই কতটুকু যাবে সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না,” বলেন তিনি।
এদিকে, অক্টোবরের ১৩ তারিখ থেকে নভেম্বরের তিন তারিখ এই ২২ দিন নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান।
বাতায়ন২৪ডটকম।।বিবিসি বাংলা।।