স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
রংপুরে উত্তম মমিনপুর শান্তিপাড়া, গ্রামে অসহায় ভূমিহীন এর বাড়িঘর আওয়ামী ট্যাগ দিয়ে পুড়িয়ে দিলেন বিএনপি নেতারা।
আজ ১২ ই জুলাই শনিবার দুপুর ২ টায় রংপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে সুজন মিয়া।
তিনি বলেন আমার পিতা একজন হত দরিদ্র ভ্যান চালক ও কৃষক। আমরা অন্যের জমি বর্গা চাষ করে সম্মানের সহিত কোন রকমে জীবন জিবিকা নির্বাহ করে বেঁচে আছি। আমাদের পরিবার
ভূমিহীন। আমাদের এলাকায় পরিত্যাক্ত খাসজমি উপর বিদ্যমান কবরস্থান বন্দ্যবস্তু নিয়ে গত ১৫/২০ বছর পূর্বে বসতবাড়ি করে তৈরী করে বসবাস করে আসছি। আমাদের এলাকায় কিছু প্রভাবশালী মহল যারা বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত। আমাদের সাথে জমি বর্গচাষ নিয়ে বিরোধে লিপ্ত হয়। আমাদের এলাকার জমির মালিক সোহেল মিয়া আব্দুর রজ্জাক ও মুকুল মিয়াকে বর্গাচাষ করতে বেশ কিছু জমি বর্গা দেয়। তাদের মধ্যে ফসল নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে সোহেল মিয়া ওই জমি আমাদেরকে বর্গচাষ করতে দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ১১ মার্চ- ২০২৪ ইং তারিখে রাজ্জাক, মকুল, আপেল গং’রা আমার চাচা আনারুল ইসলামকে তামাক নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে গুরুত্বর রক্তার্ত জখম করে। এতে করে আমার চাচার মাথায় খুলি কেটে দেড় ইঞ্চি গভীর হয়। এ সময় আমার চাচি ফরিদা বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও প্রতিপক্ষ মকুল মিয়া বেদম মারপিট করে শ্লীনতাহানী ঘটায়। এ ঘটনায় আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় আসামীগন জামিন পেয়ে আমাদেরকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। পরে আমরা থানায় একটি সাধারণ ভাইরী করি। শুধু হুমকি দিয়ে তারা ক্লান্ত হয়নি। ১৩ আলমগীর হোসেন ওই এলাকার মাহিদুলের চায়ের দোকানের সামনে এলাপাতায়ী মার ডাং করে শুরু জখম করে। আমার বাবা গুরুত্বর অসুস্থ্য হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল হাসপতালে ভর্তি করি। প্রতিপক্ষগণ বলেন, আওয়ামীলীগ ট্রাগ দিয়ে ওদের বাড়ি পুড়িয়ে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে দেবে বলে হুমকি দিতে থাক। পরে ওই গভীর রাতে আমাদের বসতবাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। আমরা আগুনের লেলিহান শিখায় জাগনা পেয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়ি। এ সময় আমরা ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দিলে ততক্ষনে আমাদের বাড়ির ৪টি টিনের বসতবাড়ি, ১ টি গোয়াল ঘর, ১ টি মুরগীর খামার, একটি কবুতরের খামার, গোয়াল ঘরে থাকা ১টি গরু, ২ টি ছাগল খামারের মুরগীসহ বসত ঘরের ভিতরে থাকা বিভিন্ন অসবাবপত্র এবং ঘরে মজুদ রাখা ৩০ মণ শুকনো তামাক আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হয়। এতে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার অধিক ক্ষতি সাধন করে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মিগণ বলেন ক্যামিকেল দিয়ে এই আগুন লাগানোর ফলে অতিদ্রুত এই আগুন ছড়িয়ে যায়। আসামী মেজবাহুল হক হৃদয় সদর উপজেলা মৎস্যজীবি দলের সদস্য সচিব ও শাহিন মিয়া, মমিনপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৫নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক, এর নৈতৃেতে জাকারিয়া মুকুল মিয়া, আপেল, জাহেদুল ইসলাম আব্দুর রাজ্জাকসহ আরও ১০/১২ জন মিলে গভীর রাতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনা আমার দাদি কাচুয়ানী বেগম দেখে চিৎকার করতে থাকলে আমরা জেগে যাই। তখন আমাদের নিজেদের জীবন বেচে গেলেও আমার বসত বাড়ি ও ধন সম্পদ রক্ষা করতে পারিনি। এ ঘটনায় আমার বড় চাচা আনিচুল হক বাদী সদর কোতয়ালী থানায় ৩৮/২৫ নং মামলা করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীগনকে গ্রেফতার না করে কালক্ষেপপন করতে থাকাকায় আসসামীরা জামিনের সুযোগ পেয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ সুপার মহোদয়কে অভিযোগ দিলে তিনি তদন্ত করে অবহেলার দায়ে মামলার তদন্তভার অন্য একজনকে দায়িত্ব দেন। এবং শাস্তি স্বরুপ ওই কর্মকর্তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করেন। মামলায় জামিন পেয়ে আসামীগন আমাদের পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় রংপুর জেলা বিএনপিকে লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পাইনি। বর্তমানে আমাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্য আনারুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, সুজন মিয়া, কাসুয়ানী বেগম, ফরিদা বেগম, আলমগীর হোসেন।
বাতায়ন২৪ডটকম/বাতায়ন২৪ডটকম।।