স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রংপুর।।বাতায়ন ২৪ডটকম।।
রেলওয়ের লীজ নেয়া জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত কৃষক মাহফিজুল হত্যা মামলা থানা কর্তৃক না নেয়ার প্রতিবাদে পার্ বতীপুর থানার ওসির অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসি।
শনিবার ( ১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর-ফুলবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসি। পরে সড়কটি অবরোধ করে রাখে তারা। কয়েকশ নারী পুরুষ এতে অংশ নেন। পরে মিঠাপুকুর-ফুলবাড়ি এশিয়ান হাইওয়ে অবরোধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় ঘন্টাখানেক ওই সড়কে যাতায়াত বন্ধ থাকে। এসময় বক্তব্য রাখেন নিহতের স্ত্রী সঞ্জুয়ারা বেহম, মাহাবুল ইসলাম, রুলেল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কৃষক মাহফিজুল ইসলাম রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ৩ একর পরিত্যক্ত জমি লীজ নিয়ে চাষাবাদ করে আসছিলেন। গত ১ সেপ্টেম্বর কিছু দুর্বৃত্ত কীটনাকশক দিয়ে জমির ধান পুড়িয়ে দিতে গেলে হাতে নাতে এলাকাবাসির হাতে আটক হন মাফু ও আব্দুল কাদেরসহ ২ জন। তাদেরকে মধ্যপাড়া পুলিশফাঁড়িতে দেয়া হলে উভয় পক্ষের মধ্যে ইউএনওর মধ্যস্ততায় সমঝোতা হয়। ইউএনও দুই পক্ষকে জমিতে না যাওয়ার নির্দেশনা দেন। এরই মধ্যে ৩ সেপ্টেম্বর মাহফিজুল জমির কাছে গেলে প্রতিপক্ষ তাকে বেদম মারপিট করে । রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত কৃষকের পুত্র সজিব পার্বতীপুর থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামুন মিয়া মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান। মামলা না নেয়ায় উল্টো হত্যাকারীদের হুমকি ধামকিতে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসি শংকিত হয়ে পড়েছেন। তারা ওসির অপসারণ চান।
বিষয়টি জানিয়ে এলাকাবাসি দিনাজপুর পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মধ্যপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই উজ্জল জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি কৃষক মাহফিজুলকে বেদম মারপিট করা হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। ঘটনাস্থল থেকে আসামীদের গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করেছি। থানা কেন মামলা নিচ্ছে না। সেটা আমি জানি না।
পার্বতীপুর ওসি মামুন জানান, আমার কাছে এ বিষয়ে কেউ মামলা দিতে আসেনি। তবে ওই ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ি থেকে যে টারচনকে আটক করে থানায় দিয়েছিল। তাদেরতে ৫৪ ধারায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তবে নিহতের পুত্র সজিব ইসলাম জানান, ৪ এবং ৫ সেপ্টেম্র আমি থানায় নিজে মামলার এজাহার নিয়ে যাই। তখন উল্টা ওসি আমাকে বলেন, আপনি তো এই হত্যাকান্ডের আসামী। আপনি বাদি কিভাবে। এরপর থানা থেকে চলে আসি। পরে আবাওর যোগাযোগ করি। তখন ওসি প্রধান আসামীদের বাদ দিয়ে এজাহার দায়ের করতে বলেন। আমি চাই যারা আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করলো। তাদের নামে মামলা হোক।
বাতায়ন ২৪ডটকম/শরিফুল ইসলাম।