স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হক।
বলেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরাতে আমাকে হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে তার দাবি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কবি হেয়াত মামুদ ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হক। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া মুদি দোকানি ছমেছ উদ্দিন হত্যা মামলায় জামিনে মুক্ত হওয়ার দুইদিন পর তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
মাহমুদুল হক দাবি করেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্রের পরিকল্পনায় তাকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। চক্রটি তার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারাই মামলা করাচ্ছে। হাজিরহাট থানায় যে মামলায় তার নামে দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছে। তাকে তিনি চেনেন না, এমনকি ঘটনাস্থল কিংবা হাজিরহাট থানা এলাকাও তার অজানা। হয়তো পুলিশ কমিশনারের গ্রিন সিগন্যালে তাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৯ সালে আমি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। ২০২০ সালের দিকে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিবিরোধী একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে যুক্ত হই। তৎকালীন উপাচার্যের বিরুদ্ধে ৭৯০ পৃষ্ঠার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় গোল বৃত্তকে চারকোনা বানানোর বিষয়ে আমি একটি মামলা করি। এর ফলে আমার পক্ষে-বিপক্ষে কিছু গোষ্ঠী দাঁড়িয়ে যায়। আমি অধিকার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমার কিছু বিপক্ষ গ্রুপ দাঁড়িয়েছে গেছে এই বিশ্ববিদ্যলেয়ে।
গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা বলতে গিয়ে মাহমুদুল হক বলেন, ঘটনার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রোগ্রাম শেষে আমি বাসায় যাই। তখন আমার তের বছরের ছেলে ও আমি বাসায় ছিলাম। আমার পরিবার রাজশাহীতে ছিল। হঠাৎ সাদা পোশাক ও ইউনিফর্ম পরিহিত কিছু পুলিশ সদস্য ওসিসহ আমার বাসায় আসে। তারা আমাকে ছমেছ উদ্দিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে। আমি ওই মামলার সবশেষ ৫৪ নম্বর আসামি। আমাকে সরাসরি কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়। আমি অবাক হয়ে যাই, কারণ মামলা ছিল হাজিরহাট থানায়, অথচ আমাকে কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়। সেখানে কিছু কাগজপত্র তৈরি করা হয়। এরপর দ্রুত আমাকে আদালতে নিয়ে কয়েক সেকেন্ড শুনানি শেষে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও অটোচালক মানিক হত্যা মামলায় আমাকে হয়রানি করা হয়। সেখানে আমি ছিলাম ১৯ নম্বর আসামি। কেন এসব হয়রানিমূলক মামলা করা হচ্ছে, তা আমি বুঝতে পেরেছি। আমি দীর্ঘদিন ধরে অধিকার নিয়ে কথা বলেছি, মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। এসব কারণেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র আমার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারাই এসব মামলা করাচ্ছে এবং বাদীকে প্রভাবিত করছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাকে সরাতে, আমার পরিবারকে হেয় করতে এসব মামলা করা হয়েছে।
বাতায়ন ২৪ডটকম/শরিফুল ইসলাম।