সংবাদ শিরোনাম :
দিনাজপুরে বাসের ধাক্কায় ৫ যাত্রী নিহত আহত ১৫ “আধিপত্যবাদী শত্রুরা আবারো নতুন করে ক্ষমতা দখল করতে পারে -এজন্য আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে”  জামায়েত নেতাদের অন্যায় ভাবে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে: তারাগঞ্জে এটিএম আজহারুল ইসলাম সুন্দরগঞ্জে অসহায়-দুস্থ নারীদের মাঝে শাড়ি বিতরণ ভারতে ‘বিদেশি’ আখ্যা দিয়ে বাঙালি মুসলিমদের বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ গেল ৪০ ফিলিস্তিনির কাউনিয়ায় ফেনসিডিলসহ ৩ নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার লালমনিরহাটে রংপুর ১২ কেজি গাঁজাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে কাজ করেছে:আখতার রংপুরে ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করায় পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য কে কারণ কারণ দর্শানোর নোটিশ।
জামায়েত নেতাদের অন্যায় ভাবে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে: তারাগঞ্জে এটিএম আজহারুল ইসলাম

জামায়েত নেতাদের অন্যায় ভাবে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে: তারাগঞ্জে এটিএম আজহারুল ইসলাম

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রংপুর।।বাতায়ন২৪ডটকম।।

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, যারা আমাদের বিরুদ্ধে নানা কল্পকাহিনি বানিয়েছেন তারা আজকে চুপ মেরে গেছেন। এটা শুধু আমার মুক্তির কারণে। এর আগে যাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, পূর্ণাঙ্গ রায় বের হলে দেখতে পাব তাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ১১টার দিকে রংপুরের তারাগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কারামুক্তি উপলক্ষে উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে শোকরানা মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,

১৪ বছর পরে তারাগঞ্জে এসে যা যা বললেন জামাত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম।

আমি ১৪ বছর কথা বলার সুযোগ পাইনি। আমার মুখ বন্ধ করা হয়েছে। আমি তাতেও ঘাবড়াই নাই।শেষ পর্যন্ত আমাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।আমি সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।আমার মালপত্র সবাইকে দিয়েছি। পরিবার থেকে আমি বিদায় নিয়েছি। সত্যিকার অর্থে আমি বলছি আমি ফাঁসির জন্য ভয় পাইনি।কারণ আমি জন্মগ্রহণ করেছি আল্লাহর পক্ষ থেকেই।জন্মগ্রহণ করতে হলে মৃত্যুবরণও করতে হয়। সেটা গাড়িতে চাপা পড়ে হোক হাসপাতলে কাতরাই হোক,স্টক করে হোক, অর্থাৎ কাস্টুরিতে ঝুলেই হোক। মৃত্যু থেকে কেউ বাঁচতে পারে না। যারা ঈমানদার যারা আল্লাহকে ভয় করে যারা মনে করে আমাকে আল্লাহর কাছে যেতে হবে। তারা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে। কেন আল্লাহতালা আমাকে জেলখানায় শহীদের মর্যাদা দিল না। আল্লাহর ভিন্ন কোন পরিকল্পনা থাকতে পারে। আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাই। আল্লাহ যে কয়দিন আমাকে হেয়াতে বেচে রাখে। প্রতিটি সময় প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহর দিন কায়েমে জিহাদে শরীক থাকতে চাই। আমি বয়সে বৃদ্ধ কিন্তু আমি মন-মানসিকতায় যুবক। আমি এমন কাজ করতে চাই অনেক যুবককের চেয়েও অনেক বেশি কাজ করতে পাব ইনশাআল্লাহ। সম্মানিত ভাই ও বোনেরা আমি আপনাদের সামনে হাজির হতে পেরে আবেগে আপ্লুত হয়েছি। আমি শুনেছি আমার জন্য আপনারা অনেকে রোজা রেখেছেন। অনেকে নফল নামাজ পড়েছেন। অনেকে মানত করেছেন। অনেকের দান সদকা করেছেন। আমি আপনাদের এই কার্যক্রম কে শ্রদ্ধা করি। সবাই ঐক্য মতের ভিত্তিতে আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।এর আগেও যাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তাদের রায় পুনাঙ্গ রায় দিলে আমরা দেখতে পাবো অন্যায় ভাবে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা যেখানে যে ভাবে জড়িত আমি আপনাদের মাধ্যমে সরকারকে বলতে চাই তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি প্রদান করা হোক। তা না হলে বাংলাদেশে আইনের শাসন থাকবে না। আজকে মানুষ আদালতে আস্তা অর্জন করতে শুরু করেছে। অন্যায় ভাবে আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ গঠন করেছেন তারা করতেই পারেন। কিন্তু বিচারপতি যারা বিচার করেন তাদের তো বিবেক থাকা দরকার। একজন বলেছেন আমাকে নাকি তিন কিলোমিটার দূর থেকে দেখেছেন সেখানে নাকি বাড়ি ঘরে ছিল। ৩ মিটার দূর থেকে কাউকে কি দেখা সম্ভব। যারা সাক্ষী দেবার দিয়েছেন কিন্তু বিচারপতিদের বিবেক গেল কোথায়। এরা বিবেক বিক্রি করেছিল আর এক জায়গায়। এ ধরনের বিচারপতি যতদিন বাংলাদেশে থাকবে ততদিন বাংলার মানুষেরা ন্যায় বিচার পাবে না। আল্লাহর রহমত পাঁচই আগস্টের বিপ্লবের পর আমরা শুভোতাস দেখতে পাচ্ছি। বিচারালয় এখন স্বাধীন হয়ে বিচার করার সুযোগ পাচ্ছে। এখানে রাজনৈতিক খবরদারি নেই বললে আমি জানি। আজকে তাই আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি। স্বাধীনভাবে চলার সুযোগ পাচ্ছি। আল্লাহতালা আমাদের সঠিকভাবে চলার শক্তি দান করুন। আপনারা সামনে খেয়াল রাখবেন যারা আধিপত্য শক্তি আর একজনের হাতে বন্দি। তারা দেশের মানুষের জন্য কোন কিছু করতে পারেন না। এদেশে থেকেই মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। তারাই এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে। তারাই দেশের সীমানা রক্ষা করতে পারে। ঈমান আকিদা রক্ষা করতে পারে। আমরা চাচ্ছি নির্বাচন তাড়াতাড়ি হোক। নির্বাচন এপ্রিলের মধ্যে বলা হয়েছে যদি এপ্রিলের মধ্যে সব কাজ শেষ হয় তাহলে আমরা নির্বাচন অংশগ্রহণ করব ইনশাল্লাহ। নির্বাচন যেন অবাধ হয়, সুষ্ঠু হয় আমরা সেই দাবি সরকারের কাছে করবো। আগের মত যেন ভোট চুরি ও ভোট ডাকাতি না হয়। নিশ্চয়ই এ সরকার তা করার সাহস পাবে না। অনেকেই ১৫ বছর ভোট দিতে পারেন নাই তাই ভোটের প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণা না আছে আমি অনুরোধ করব এবারে ভোট বিপ্লব ঘটাতে হবে। সবাইকে ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। ভোট প্রয়োগ করতে হবে। কারণ সৎ যোগ্য লোক নির্বাচিত করতে হবে। আমরা যদি লোক নির্বাচিত করতে ভুল করি। তাহলে আমাদের আবারো বিপদে পড়তে হবে। আমি ৯৬ নির্বাচন করেছি ২০০১ সালে নির্বাচন করেছি। ভোটকেন্দ্রে দখল করে নির্বাচিত হতে চাই না। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে জয়লাভ করতে চাই। সবাই রাষ্ট্র পরিবর্তন করতে চাই। এইজন্য জামাতে ইসলামিক স্লোগান কি সৎ লোকের শাসন চাই আল্লাহর আইন চাই। আমরা বিশ্বাস করি মানুষের তৈরি আইন দিয়ে মানুষের মুক্তি হবে না। মানুষের জ্ঞান সীমাবদ্ধ চোখের উপরে কি আছে আয়না ছাড়া দেখতে পায় না। পিছনে কি আছে আয়না ছাড়া দেখতে পায় না। মানুষের আইন দিয়ে দেশ চলবে কিভাবে। শরীরে কোথায় কি আছে দেখা যার ক্ষমতা নাই সে মানুষকে চালানোর ক্ষমতা রাখতে পারেনা। এই চোখ কান যিনি সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার আইন নির্ভুল আইন। সেই আইনে শুধু মানুষের মুক্তি দিতে পারে। সেটা আমাদের আম্বিয়া কেরাম গান চালু করেছেন শেষ নবী চালু করেছেন।তাই জামাতে ইসলাম বিশ্বাস করে মানুষ তৈরি রচিত আইন মানুষের কল্যাণ নিয়ে আসতে পারে না। সেই জন্য আমাদের স্লোগান আল্লাহর আইন চাই সৎ লোকের শাসন চাই। কারণ আইন নিজে নিজে কাজ করে না যারা আইন প্রয়োগ করবে। যারা সরকারে আছে তারা যদি ভালো না হয় তাহলে এই আইন কোন কাজে আসবে না। যেটা আল্লার নবী ১৩ বছরে সৎ লোক তৈরি করেছেন।মক্কার তাকে চাইনি তিনি হিজরত করে মদিনায় গিয়েছেন। মদিনার চাইলো মদিনার চাওয়া ও লোক তৈরি করা দুটোর সমন্বয়ে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম একটা সভ্যতার সৃষ্টি করেছেন আমাদের নবী। আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসনের মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এর জন্য আমাকে সহযোগিতা করেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে জামাতে ইসলাম করলেও আমি এলাকার সব ধরনের লোককে ভালোবাসি। তারাগঞ্জের একটি লোক বলতে পারবে না আমি তিনটি ইলেকশন করার পরেও কারো কোন ক্ষতি করেছি, কারো মনে কষ্ট দিয়েছি। কারণ আমরা জানি আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য করি। সে যেই কোন দলের হোক না কেন। কারণ কি আমার কাছে অনেক অমুসলিম ভাই ও বোনেরা যান। তাই হিন্দু মুসলিম আমার জন্য একটু দোয়া করবেন। তারাগঞ্জ অবহেলিত অনেক অনেক জায়গায় পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আমাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। সেখানে অনেক কিছু দুর্নীতি  হয় অনেক পরিবর্তন হয়। যদি আপনাদের ভোটে ইনশাল্লাহ এমপি ভোটে জয়লাভ করতে পারি তাহলে একটি পয়সাও আমি হারাম ভাবে খাব না। আমার পেটে ঢুকবে না ইনশাল্লাহ। আল্লাহতালা আমার অভাব দেয়নি। এমপি হলে অনেক কাজ করার সুযোগ থাকে। অনেক অনুদান সরকার থেকে পায় সে অনুদান যদি মানুষের মাঝে ব্যয় না করে। তাহলে কোন লাভ নেই। আমি যখন এমপি ছিলাম না তখনো অনেক অনুদান নিয়ে এসে মসজিদে দান করেছি। যারা এমপি ছিল আমি শুনেছি নতুন নতুন প্যাড বানিয়ে অনুদান তুলে তারা খেয়েছে। আমি ওয়াদা করিতেছি আপনারা যদি আমাকে নির্বাচিত করতে পারেন ইনশাল্লাহ আমি সরকারি কোষাগরের একটি পয়সাও আমার পেটে যাবে না। এই টাকাটা তাহলে কোথায় যাবে এই টাকাটা সরকার যেখানে নির্ধারিত জায়গায় ব্যয় করতে বলবে সেখানেই ব্যয় করা হবে।
বাতায়ন২৪ডটকম /শরিফুল ইসলাম।

 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved © batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com