স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
এই (জুলাই বিপ্লব) আন্দোলন হলো, হাত গেলো, পা গেলো, এতো জীবন গেলো। যারা সিন্ডিকেট করে তারা কি এটা দেখে নাই? তাদের ভেতরে কোন পরিবর্তন হবে না? কাজেই আমার-আপনার সবার মধ্যে যদি পরি বর্তন না হয়, তাহলে কি দেশ পরিবর্তন হবে? প্রতেক্যেরই তো সেলফ এসেসমেন্ট করতে হবে আমি কে, আমি কি করছি?: বলে প্রশ্ন তুলেছেন স্বাস্থ্য উপদেস্টা নুরজাহান বেগম।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন এবং হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথার বলার সময় এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এসময় তার সাথে ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান, ডিসি মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালসহ পদস্থ কর্মকর্তারা ।
চীনের হাসপাতাল কোথায় হবে সাংবাদিকরে এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য উপদেস্টা বলেন, আমি এসেছি। আজ জায়গা দেখবো। আমি দেখলে তো হবে না। যারা এই হাসাপাতাল বানাবে। তারা দেখবে। যেহেতু এটা চাইনিজ সরকার বানাবে। সেকারণে আমি যাওয়ার পর চাইনিজ এ্যম্বাসেডর আসবে। তারপর এটা সিদ্ধান্ত হবে কোথায় হবে।
রংপুর মা ও শিশু হাসপাতাল চালু হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য উপদেস্টা বলেন, শিশু হাসপাতাল না হওয়ার কোন কারণ নাই। যেকোন কিছু করতে হলে একটা যদি ঘোড়ার গাড়ি চালাতে যাই, ঘোড়ার সাথে আমার গাড়িটা লাগবে। রশি লাগে, চাকা লাগে। শুধু ঘোড়া দিয়ে দিলেই তো গাড়ি হবে না। হাসপাতালও সেরকম। হাসপাতাল করতে হলে তার জনবল লাগবে। এরা জনবলের কোন পরিকল্পনা করে নাই। যন্ত্রপাতির পরিকল্পনা কিছু করেছে কিছু করে নাই। কাজেই আমরা হঠাৎ করেই এগুলো এনে দিতে পারবো না। কাজেই আমরা আস্তেধীরে এগুলো করবো। আমি ফিরে গিয়ে দেখি কি করতে পারি। যত দ্রুত সম্ভব চালু করা যায় কিনা।
এসময় তিনি আরও বলেন, হৃদরোগ, কিডনি ও ক্যান্সার রোগিদের জন্য রংপুরে ৫৬০ শয্যা র হাসপাতালের বাজেট পাশ হয়েছে, আমরা শুরু করতে না পারলেও পরবর্তী সরকার এসে সেটা কার্যকর করবে।
বাতায়ন২৪ডটকম/মেমোহি