সংবাদ শিরোনাম :
রংপুরে শুরু হলো  জুলাই ৩৬ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট রংপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় হিন্দুপল্লীর ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি গুলো মেরামত করে দিচ্ছে প্রশাসন: আতঙ্ক কাটতে শুরু করেছে   উত্তরাঞ্চলের বাজেট বৈষম্য নিরসনের দাবিতে রংপুর  মডার্ন মোড় ব্লোকেড:  দেড় ঘন্টা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ  সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন নিয়ে সরকার যে  এজেন্ডা ঘোষণা করেছে সরকার সেটা সামাল দিতে পারছে না:  জনতার দল চেয়ারম্যান ঘুষের জন্য যে হাত বাড়াবে, তার হাত অবশ করে দেওয়া হবে: শফিকুর রহমান রাস্তায় মাইলস্টোন শিক্ষার্থীরা, ৬ দাবিতে বিক্ষোভ প্রশিক্ষণ বিমান স্কুলের উপর বিধ্বস্ত, নিহত ১ রংপুরে জরাজীর্ণ সড়ক সংস্কারে জানাজ ফতুল্লায় হরতাল সমর্থনে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন গ্রেফতার ২ সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা গ্রেফতার ১
রংপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় হিন্দুপল্লীর ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি গুলো মেরামত করে দিচ্ছে প্রশাসন: আতঙ্ক কাটতে শুরু করেছে 

রংপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় হিন্দুপল্লীর ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি গুলো মেরামত করে দিচ্ছে প্রশাসন: আতঙ্ক কাটতে শুরু করেছে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
রংপুরের গঙ্গাচড়ার আলদাদপুরে মহানবী ( সা.) নিয়ে এক হিন্দু কিশোরের ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার  জেরে দুর্বৃত্তদের হামলায় ভাঙচুর হওয়া ঘরগুলো মেরামত করে দিচ্ছে সরকার। এলাকাবাসী এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই হিন্দু পল্লীতে ক্রমেই আতঙ্ক কাটছে বলে জানিয়েছেন অধিবাসীরা।
 মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল নয়টায় গংগাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের  আলদাদপুর ছয় আনি বালাপাড়া হিন্দু পল্লীতে গিয়ে দেখা গেছে
গংগাচড়া উপজেলা ইউএনও কার্যালয়ের উদ্যোগে ভাঙচুর হওয়া ঘরগুলো মেরামত করে দেয়া হচ্ছে। সরকারি টিন এবং সরকারের মিস্ত্রি খরচে চলছে  ঘরের বেড়া ও ছাদের টিন লাগানোর কাজ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুল হাসান মৃধা  নিজেই কাজ মেরামত কার্যক্রম  তদারকি করছেন। পাশাপাশি প্রতিটি হিন্দু পরিবারের সাথে কথা বলছেন তিনি। আশ্বস্ত করছেন পাশে থাকার। এরই মধ্যে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যারা প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারাও নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। তারাও মিস্ত্রিদেরকে কাজে সহযোগিতা করছেন।
তবে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট প্রদানকারী রঞ্জন রায়ের পিতা এবং তার চাচা জয়চাঁদ বেলা সাড়ে বারোটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত  বাড়িতে ফেরেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুল হাসান মৃধা  জানিয়েছেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা রঞ্জন রায়ের পিতা সুজন চন্দ্র রায় এবং চাচা জয়চাদের সাথে কথা বলেছেন। তারাও আজকের মধ্যেই বাড়িতে ফিরবেন। তবে রঞ্জন রায়ের পিতা সুজন চন্দ্র রায় হাসপাতালে থাকায় তিনি দেরিতে ফিরবেন।
করতে পারতো না। তিনি বলেন, এই হামলা এবং লুটপাটের কারণে হিন্দু পল্লীটিতে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে স্থানীয় মুসলমান কমিউনিটি এবং প্রশাসনের তৎপরতা থাকায় কিছুটা আতঙ্ক কমেছে। তিনি সবার সহযোগিতা চান।”
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান  ঐক্যফ্রন্টের গঙ্গাচড়া উপজেলা আহবায়ক তপন কুমার রায় জানান, ” রোববার যদি সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে থাকতো, তাহলে কোনভাবেই দুর্বৃত্তরা এই ঘটনা ঘটাতে পারত না। যাইহোক পরবর্তীতে পুলিশ সেনাবাহিনী এবং সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। সবার সাথে কথা বলে আতঙ্ক কাটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ওই এলাকাটিতে হিন্দু মুসলমান বহু বছর ধরে সম্প্রীতির সাথে বসবাস করছেন। এ ধরনের ঘটনা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল।
তপন কুমার বলেন,  “ওই হিন্দুপল্লীটির সবাই তাদের নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করছেন। যেসব ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রশাসনের লোকজনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তরা একসাথে হয়ে সেগুলো মেরামতের কাজ করছেন। রঞ্জন রায়ের চাচা জয় চাঁদ এবং তার বাবা সুজন চন্দ্র রায় বাহিরে আছেন। তারাও আজকে তাদের ঘরে ফিরবেন। আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি, যারা এই হামলার সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এখানকার মুসলমান কমিউনিটি এবং হিন্দি কমিউনিটি আমরা একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার অঙ্গীকার করেছি। “
রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক শামসুজ্জামান সামু জানিয়েছেন, ” গঙ্গাচড়ার ওই এলাকার কোন ব্যক্তি হামলার সাথে জড়িত ছিল না। পাশের কিশোরগঞ্জ উপজেলার লোকজন ওই হামলার সাথে জড়িত। তিনি বলেন পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোকজন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের স্পর্শকাতর বিষয়টিকে উসকে দিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য আছে। হামলাকারীদের অনেকেই পতিত ফ্যাসিস্ট রাজনীতির সাথে জড়িত। বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্ত করার দাবি জানান তিনি। “
রংপুরের ডিসি মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল জানান, ” আমি নিজে গিয়ে প্রত্যেকটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে কথা বলেছি। তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি। ঘরেরাস্থলে স্থানীয় মুসলিম কমিউনিটি এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশ রয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আর কোন সংকা নেই। যারা প্রতিবেশীদের বাড়িতে গিয়েছিলেন তারাও ফিরেছেন। দুর্বৃত্তদের ব্যাপারে সরকার কঠোর।”
রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ ঘটনা শোনার সাথে সাথে আমরা সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো মামলা দেয়নি। মামলা দেয়া মাত্রই আমরা তো গ্রহণ করব এবং দুর্বৃত্তদের ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এই বাংলাদেশে হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির জায়গা। সেই জায়গায় যারা আঘাত হানার চেষ্টা করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ছাড় দেবে না।
বাতায়ন ২৪ডটকম/শরিফুল ইসলাম।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved © batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com