বাতায়ন২৪ ডটকম/সিনিয়র করেসপনডেন্ট।
পূর্ব ঘোষণা, নোটিশ ও আনুষ্ঠানিকভাবে না জানিয়ে নওগায় সড়ত ও জনপথ বিভাগ পেট্রোল পাম্পে উচ্ছেদ অভিযানের অভিযোগে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের পেট্রোল পাম্পগুলোতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট করছে পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন। ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবহন মালিক শ্রমিক ও বাইক চালকরা।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিসট্রিবিউটরস, এজেন্ট এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের প্রায় ৮০০ পেট্রোল পাম্পে সকাল ৮ টা থেকে অকটেন পেট্রোল ও ডিজেল উত্তোলন ও সরবরাহ অনির্দিষ্টকালেল জন্য বন্ধ আছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে. ধর্মঘটের কারণে সরবরাহ বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বাইক চালক ও পরিবহন শ্রমিকরা। পেট্রোল পাম্পগুলোতে বাইক, কার, মাইক্রো, পিকআপ, ট্রাক, বাস থামিয়ে ভির করছেন চালক ও শ্রমিকরা। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে জ্বালানী। এতে গন্তব্যে পৌঁছতে ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে অফিসগামীরা পড়েছেন বিপাকে।
রংপুর মহানগরীর শাপলার ইউনিক পেট্রোল পাম্পে সকাল সোয়া আট টায় কথা হয় পীরগাছাগামী একটি সরকারি অফিসের কর্মকর্তা মাসুদ রানার সাথে। আমি এই পাম্প থেকেই তেল নিয়ে যাতায়াত করি। এখন বাইকেও পেট্রোল নেই। অফিসেও যেতে হবে। ধর্মঘটের বিষয়টা আমার জানা ছিল না। বিপদে পড়লাম। কিভাবে কি করি। পরে তাকে বাইক ঠেলে সামনের দিকে নিয়ে যেতে দেখা গোলো।
ট্রাকের চালক আলমগীর জানান, ‘ ধর্মঘট যারা ডেকেছে তাদের এতটুকু থাকা উচিৎ যে যারা আমাদের মতো শ্রমিক ড্রাইভার আছে। একটা গাড়িতে তিনজন চারজন করে লেবার আছে। তাদের পরিবার এটার ওপর ডিপেন্ট করে। যদি আমাদের ২/৩ দিন আগে ধর্মঘটের তারিখ জানানো হতো। তাহলে আমরা ওই তারিখে অন্য কাজ খুঁজে নিতাম। কারণ প্রতিদিনের আয় দিয়ে আমাদের সংসার চলে। এটা আমাদের পেটে লাথি দেয়া হলো। এটা ঠিক নয়। এখন আজকের সংসার আমরা কিভাবে চালাবো। অন্য কাজ এখন কোথায় গিয়ে খুঁজবো। ’
তবে এই ধর্মঘটের বিষয়ে খুব একটা জানেন না পাম্প কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও।
রংপুর ইউনিক পাম্পের কর্মকর্তা পরিতোষ চক্রবর্তি জানান,‘ আমি কিছুই জানি না কেন পাম্প বন্ধ। যেহেতু মহাজন ফোন করে পাম্প বন্ধ রাখতে বলেছে। তাই বন্ধ রেখেছি। শুনেছি কোথায় নাকি গন্ডগোল হয়েছে। মারামারি হয়েছে।’
মঙ্গলবার ( ৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টায় এক প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান রতন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল জলিল জানান, নওগাঁ জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা, নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি না দিয়ে আকস্মিক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। এটা অযৌক্তিক ও অন্যায় অভিযান। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার ( ৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সব পেট্রল পাম্প মালিককে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন-বিপণন বন্ধ এবং পরিবহন ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানানো হলো।
বাতায়ন২৪ডটকম/শরিফুল ইসলাম