বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।।
পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করে অনেকে সুবিধা নিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেছেন, “আমরা তাদের সুযোগ করে দেব না। আমরা বলব, পাহাড়-সমতল সব মিলেই বাংলাদেশ।”
শনিবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালার লারমা স্কয়ারে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপের সময় উপদেষ্টা পাহাড়ে সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়াও ঘোষণাও দেন।
নাহিদ বলেন, “এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। যারা দোকানপাট পুড়িয়ে দিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের আমরা বিচারের আওতায় আনব। আমরা বারবার করে বলছি, আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নেবেন না।”
বুধবার সকালে চুরির অভিযোগে পিটুনিতে মামুন নামে এক যুবক হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মিছিলের এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। পরে লারমা স্কয়ারের দোকানপাটে আগুন দেয় একটি পক্ষ। এতে ৬০-৭০টি দোকান পুড়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ।
সংঘর্ষে আহতদের খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়।
দীঘিনালার ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতভর জেলা সদরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পুরো জেলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নাশকতা রোধে খাগড়াছড়ি পৌর শহর ও জেলা সদরে শুক্রবার বেলা ২টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।
আইনশৃঙ্খলা অবনতি করার চেষ্টাকারীদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে
পাহাড়ে সহিংসতায় জড়িতদের শাস্তি উদাহরণ হয়ে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ
খাগড়াছড়ির সংঘাতের জেরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে আরেক পার্বত্য শহর রাঙামাটিতেও। সেখানে সংঘর্ষে একজন মারা যান। আহত হন অন্তত ৫০ জন।
শুক্রবার সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পর বেলা দেড়টা থেকে রাঙামাটি পৌর এলাকায়ও ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।
সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শনিবার পার্বত্য দুই জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি সফর করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ।
নাহিদ স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে যে কোনো সমস্যা সমাধানে আলোচনার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, “কেউ যদি অপরাধ করেন, দোষও করেন, সেটার জন্য আপনারা শাস্তি দিতে যাবেন না। সেটার জন্য রাষ্ট্র আছে, পুলিশ আছে। আমরা যদি নিজেরাই আইন হাতে তুলে নেই, তাহলে তো এত প্রতিষ্ঠানের দরকার নেই।”
তথ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, “আমার এখানে আসার কথা ছিল না। এখানকার পরিস্থিতি জানতে আমি ফেনী থেকে এখানে এসেছি।
“আমি মনে করি, বাংলাদেশের কোনো একটি অঞ্চল অশান্তিতে থাকে সেটির প্রভাব পুরো বাংলাদেশে পড়ে। ফলে আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে। আমরা কিন্তু লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে নতুন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি।”
বাতায়ন২৪ডটকম।। সমামা