স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
রংপুর বিভাগে ১৩ প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি, ৪৮টিতে শতভাগ পাস করে।
এই বোর্ড থেকে এবার ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাস করলেও গতবছর শতভাগ পাস করেছিল ৭৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের আট জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এবারো এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাস ও জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তির দিক দিয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। এবার এই বিভাগের ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করলেও শতভাগ ফেল করেছে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
দিনাজপুর বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে- এই বোর্ডে এবার ৬৭ দশমিক ০৩ ভাগ পাস করেছে। গতবছর এই পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪৩ ভাগ। এবার এই বোর্ডের অধীনে ২৮০টি কেন্দ্রে বিভাগের ২ হাজার ৭৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১ লাখ ২২ হাজার ১৪৬ জন। এরমধ্যে এবার ছাত্রী পাসের হার বেশি ৬৯ দশমিক ৭৯ ভাগ। গতবার যা ছিল ৮১ দশমিক ০৭ ভাগ। এবার ছাত্র পাসের হার ৬৪ দশমিক ৩৮ ভাগ হলেও গত বছর তা ছিল ৭৫ দশমিক ৮৫ ভাগ।
বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণ করে আরো দেখা যায়, এবার এই বোর্ডে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১৫ হাজার ৬২ জন। এরমধ্যে মেয়েরা পেয়েছে ৭ হাজার ৫৪৬ জন। আর ছেলেরা পেয়েছে ৭ হাজার ৫১৬ জন। এবার ৩০ জন ছাত্রী বেশি এ-প্লাস পেয়েছে। গত বছর এই বোর্ডে ৩৫৪ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছিল।
ফলাফলে দেখা গেছে- এই বোর্ড থেকে এবার ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাস করলেও গতবছর শতভাগ পাস করেছিল ৭৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে এবার ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেউই পাস করেনি। গতবছর এই সংখ্যা ছিল ৪টি।
এবারো এই বোর্ডের মধ্যে পাস, জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, জিলা স্কুল, রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ক্যাডেট কলেজসহ নগরীর প্রায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ফলাফল ভালো করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে মিস্টি মুখসহ শিক্ষার্থীরা উল্লাস প্রকাশ করে।
রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কথা হয় গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পাওয়া প্রভার সাথে। সে জানায়, ১ হাজার ৩০০ মার্কসের মধ্যে ১ হাজার ২৫৬ মার্কস পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ। এজন্য নিজের চেষ্টার পাসাপাসি মা-বাবা ও শিক্ষকদের অবদান বেশি। পিএসসিতে বৃত্তি পেয়েছিলাম। আশা করি এবারো বৃত্তি পাবো।
পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ (স্কুল) আব্দুল মোত্তালেব জানান, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিবিড় প্রচেষ্টার কারণে আমাদের ফলাফল বরাবরই ভালো করছে। এ ছাড়াও টেস্ট পরীক্ষার পর আমরা শিক্ষার্থীদের বাইরে যেতে দেই না। মডেল টেস্টসহ স্কুলেই পড়ালেখার মধ্যে রাখি। এটাও ভালো ফলাফলের কারণ।
পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ (কলেজ) জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমাদের শিক্ষকদের অধিকাংশই ইয়াং এবং এনার্জেটিক। তারা নিবিড়ভাবে শিক্ষার্থীদের মনিটর করেন। এ কারণে আমরা ভালো ফলাফল করছি। আমরা শতভাগ পাস এবং শতভাগ জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তির টার্গেট নিয়ে কাজ করছি। এবার ১১ জন শিক্ষার্থী ফেইল করেছে। এটা আমরা পর্যালোচনা করবো।
বাতায়ন২৪ডটকম/শরিফুল ইসলাম।