সংবাদ শিরোনাম :
ডঃ ইউনুস দূর্নীতিমুক্ত সরকার : আগে তো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও ঘুষ দিতে হতো–দুদক চেয়ারম্যান:আব্দুল মোমেন রংপুরে ডিপ্লোমা নার্সিং ও মিডওয়াইফারিকে ডিগ্রী সমমর্যাদা দিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মানববন্ধন ‎রংপুরে সরকারি ও বেসরকারি ভবন গুলোতে ক্রমশই বাড়ছে অগ্নি দূর্ঘটনার ঝুঁকি ধরলা নদীতে ডুবে  শিশ এরফানের মরদেহ উদ্ধার সারাদেশে ৯ টি প্রদেশ বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন। রংপুরের গংগাচড়া মহিপুর তিস্তা সেতু পাড়ে চীনা ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি রংপুর মেডিকেলে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস পালিত তিন দিন ব্যাপি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক মেডিকেল ইক্যুইপমেন্ট এক্সপো-২০২৫ অনুষ্ঠিত রংপুরে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ
‎রংপুরে সরকারি ও বেসরকারি ভবন গুলোতে ক্রমশই বাড়ছে অগ্নি দূর্ঘটনার ঝুঁকি

‎রংপুরে সরকারি ও বেসরকারি ভবন গুলোতে ক্রমশই বাড়ছে অগ্নি দূর্ঘটনার ঝুঁকি

স্পেশাল করেসপনডেন্ট,রংপুর।। বাতায়ন২৪ ডটকম।।

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি ভবনগুলোতে অগ্নি দুর্ঘটনা নিরসনে জাতীয় বিল্ডিং কোড ও ফায়ার কোডের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায়, বিভাগীয় নগরী রংপুরে ক্রমশই বাড়ছে অগ্নি দুর্ঘটনায় ঝুঁকি।

সংশ্লিষ্টরা বলছে,সময়ের সঙ্গে প্রয়োজনীয়তার সাপেক্ষে অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ বিধিমালার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে,যে কোনো সময় রংপুরে অগ্নি দুর্ঘটনায় সরকারী সম্পদ বিনষ্ট ও জীবননাশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

আর সরকারী সম্পদ বিনষ্ট ও জীবন নাশের দায় পুরোপুরি গণপূর্ত অধিদফতর কেই নিতে হবে বলে জানালেন, ডিপার্টমেন্ট অফ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) অন্যদিকে,ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয় নি,গণপূর্ত অধিদপ্তরের অভিযুক্ত কোন কর্মকর্তাই।

‎উত্তর অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবার ভরসাস্হল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,কাগজে-কলমে ১০০০ সজ্জা হাসপাতাল এই হাসপাতালে প্রায় তিনগুন রোগীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করে রমেক কর্তৃপক্ষ কিন্তু বৃহত্তর এই হাসপাতালে নেই অগ্নিনির্বাপক স্হায়ী কোন ব্যবস্হা।ফলে,প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য ও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রমেক হাসপাতালে সেবা নিতে আসে রোগীরা।

‎অগ্নি প্রতিরোধ ও সুরক্ষায় জরুরী আইনি বিধিমালা গুলো শুধু কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ।অগ্নি প্রতিরোধ এবং অগ্নি সুরক্ষায় জরুরি নির্দেশনামুলক এবং দক্ষতা-সম্পর্কিত বিধিমালার নাম ফায়ার কোড অথচ, রাষ্ট্রীয় নাগরিক সেবার জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভূমি অধিদপ্তরের সাব রেজিস্ট্রি,সেটেলমেন্ট ও রেকর্ড রুম সংরক্ষণ অফিস গুলোসহ সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিসেও নেই,ফায়ার কোড এর ব্যবহার আবার যত্রতত্র বিভিন্ন খানে অগ্নি নির্বাপন সিলিন্ডার থাকলেও সেটি কালের বিবর্তনে মেয়াদ উত্তীর্ণ।

‎তবে,সাম্প্রতি সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতিদমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জনসাধারণের নানা অভিযোগ তদন্তে এসে সংশ্লিষ্ট সাব রেজিস্ট্রার সহ কর্তব্যরত কর্মকর্তা সকলেই দায়িত্ব অবহেলার সঙ্গে জড়িত এবং শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবিও জানান তিনি।

‎অন্যদিকে,অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে বিভাগীয় কলকারখানা উপ পরিদর্শক বলছেন,কলকারখানা অধিদপ্তর কর্তৃক নানা সমস্যা রয়েছে।এছাড়া জনবল সংকটের কারণেই অগ্নি নির্বাপন কিংবা ফায়ার কোডের যথাযথ ব্যবস্থা নিতেও পারছেন না তারা।

‎অন্যদিকে, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ বলছে, জননিরাপত্তা সুরক্ষায় বিল্ডিং ও ফায়ার কোড এর যথাযথ প্রয়োগ ও সরকারি ভবন গুলোর রক্ষণাবেক্ষণে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কোন সূরাহা মিলছে না।

‎সময়ের সঙ্গে প্রয়োজনীয়তার সাপেক্ষে বিভাগীয় নগরী রংপুরে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে,অনতিবিলম্বে জাতীয় বিল্ডিং কোড ও ফায়ার কোড-এর যথাযথ প্রয়োগ জরুরি।

বাতায়ন২৪ডটকম/ রিয়াদ ইসলাম 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved © batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com