করেসপন্ডন্ট, ঢাকা।। বাতায়ন ২৪ডটকম
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন থেকে গতকাল ৭ অক্টোবর পর্যন্ত অদৃশ্য রয়েছেন পুলিশের ১৮৭ সদস্য। এ তালিকায় রয়েছেন পুলিশের বহুল আলোচিত ডিআইজি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আর অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারও। অবশ্য এ দুই কর্মকর্তাসহ ১৮৭ সদস্যের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়া পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একজন ডিআইজি, ৭ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, দুজন পুলিশ সুপার, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৫ জন সহকারী পুলিশ সুপার, ৫ জন পরিদর্শক, ১৪ জন উপপরিদর্শক ও সার্জেন্ট, ৯ জন সহকারী উপপরিদর্শক, ৭ জন নায়েক ও ১৩৬ জন কনস্টেবল রয়েছেন।
কর্মকর্তা অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকার। তাকে শেষদিকে ডিবির যুগ্ম কমিশনারের দায়িত্বে আনা হয়েছিল। ৫ আগস্টের পর তারও হদিস মিলছে না। এরইমধ্যে খবর বেরিয়েছে, বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার অবৈধ পথে পালিয়েছেন।
এছাড়া কর্মস্থলে যোগ না দেয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) খন্দকার নুরুন্নবী, যুগ্ম কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান ও যুগ্ম কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায় রয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের আগে-পরে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে।
এদিকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও গত ১৯ সেপ্টেম্বর কয়েকজনকে পুলিশের সংযুক্ত ও পদায়ন করার প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দারকে রাজশাহীর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ খন্দকার নুরুন্নবীকে নোয়াখালীর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে সংযুক্ত এবং ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়কে খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে সংযুক্ত করার আদেশ জারি হয়। তবে তারা বর্তমান কর্মস্থলেও নেই বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া গতকালও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়েবসাইটে যুগ্ম কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়, খোন্দকার নুরুন্নবী ও মেহেদী হাসানকে ডিএমপিতে সংযুক্ত করার তথ্য সন্নিবেশ করা রয়েছে। তবে তারা ডিএমপিতে আসেন না বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ডিএমপির ওয়েবসাইটে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বা যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।
৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক পুলিশের এই সদস্যদের কাজে যোগ দিতে বিভিন্ন সময়ে কয়েক দফায় সময় বেঁধে দেয় সরকার। অনেকে কাজে যোগ দিয়ে অসুস্থতাজনিত ছুটিতে চলে গেলেও গতকাল পর্যন্ত ১৮৭ জনের হদিস নেই পুলিশ সদর দপ্তরে।
সর্বশেষ পলাতক এই ১৮৭ সদস্যদের বিষয়ে গত ১ অক্টোবর সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, যেসব পুলিশ সদস্য এখনো কাজে যোগ দেননি, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তারা আর পুলিশ সদস্য নন, তারা অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।
বাতায়ন ২৪ডটকম