স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপরে এই হামলা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের ওপরে হামলা বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। একইসঙ্গে এই হামলাকে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয় বলেও মনে করেন তিনি। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আজ (শনিবার) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা বলে আমরা মনে করি না। নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়েছে ১০ তারিখ, তারপর দিনই বাংলাদেশে একজন সম্ভাব্য জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর ওপরে হামলা হলো। হামলার ধরন দেখে বোঝা যায় এটা একটা পেশাদার। আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য অটুট রাখবো। সুদৃঢ় করবো। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিতর্ক হতে পারে, সামনে নির্বাচন বিভিন্ন রকমের রাজনৈতিক বিতর্ক হবে কিন্তু আমরা ওই পর্যায়ে বিতর্ক করবো না, যাতে আমাদের ঐক্য বিনষ্ট হয়।
এই বিএনপি নেতা বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদকে অবশ্যই আমরা এই বার্তা দিতে চাই, এই জাতীয় কোনো ধরনের হামলা করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। প্রতিহত করতে পারবে না।
এ বিষয়টা আজ এখানে আলোচনা হয়নি, অবশ্যই বিষয়টা আমাদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমরা দলীয়ভাবেও চেষ্টা করবো, সরকারকেও আহ্বান জানাবো যাতে উনার (তারেক জিয়া) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কোন আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে সরকারের দায়িত্ব আছে, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব আছে। জনগণের সচেতনতা জরুরি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যৌথ বাহিনী এবং সরকার, জনগণ রাজনৈতিক দলগুলো মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে যদি আমরা এগুলোকে মোকাবিলা করি, ইনশাআল্লাহ এই ধরনের ঘটনা আমরা বন্ধ করতে পারব।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।

হাদির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গতকাল রাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায়), অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেছিলেন, বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত। আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, আর এ অবস্থায় কোনো ধরনের নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না।
তিনি আরও বলেছিলেন, হাদি এখন ‘খুবই ক্রিটিক্যাল’ অবস্থায় আছেন এবং আগামী ৭২ ঘণ্টা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসে রাখা হয়েছে, যদিও চিকিৎসকেরা এখনও আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।
বাতায়ন২৪ডটকম।। মেমোহি।।