সংবাদ শিরোনাম :
মানবিক বাংলাদেশ গড়তে ধানের শীষে ভোট দিন: কাদের গনি চৌধুরী তারেক রহমান সই না করায়, ভবিষ্যতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে সংশয় জাতীয পাটির কো-চেয়ারম্যান মোস্তফার ১৯ মাস পর ঘরের মাঠে টাইগারদের সিরিজ জয় ইভিএম বাতিল, ‘না ভোট’ ফিরল : প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক “ফিরেদেখা” এর যুগপূর্তি উপলক্ষে রংপুর সাহিত্য উৎসব ও বইমেলা শুক্রবার সৌম্য-সাইফের ব্যাটিং নৈপুণ্যে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৯৬ রান ১ কোটি ৭০ লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হয়েছে হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের দিন জানা যাবে ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন রংপুরের ২৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত গাইবান্ধার এসপি ও ওসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে পুলিশের এসআইয়ের স্ত্রীর মামলা
মানবিক বাংলাদেশ গড়তে ধানের শীষে ভোট দিন: কাদের গনি চৌধুরী

মানবিক বাংলাদেশ গড়তে ধানের শীষে ভোট দিন: কাদের গনি চৌধুরী

স্টাফ করেসপনডেন্ট, চট্রগ্রাম।। বাতায়ন২৪ডটকম।।

বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, ধানের শীষ বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রতীক। গণতন্ত্রে উত্তরণ ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে মানবিক বাংলাদেশ গড়তে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে ফটিকছড়ি উপজেলা সদর বিবিরহাট বাজারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব বলেন।

তিনি বলেন, ধানের শীষে ভোট দিয়ে এদেশের মানুষ কখনও প্রতারিত হয়নি। বিএনপি বরাবরই সাধারণ মানুষের ভোটের মর্যাদা রেখেছে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে উন্নয়ন হয়। মানুষ শান্তিতে থাকে।

দুপুর থেকে ফটিকছড়ি ও ভুজপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মাদরাসা মাঠে জড়ো হন। বিকেল তিনটায় ফটিকছড়ি তালিমুদ্দিন মাদরাসা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সমবেত হাজারো জনতার উদ্দেশে কাদের গনি চৌধুরী বক্তব্য দেন।

এরপর তিনি বিবিরহাট বাজারে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ শেষে গণমিছিল বের করেন।

মিছিলটি বিবির হাট বাজার, নাজিরহাট, রোসাংগিরি, আজিম নগর হয়ে পুণ্যভূমি মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে এসে শেষ হয়। তিনি সেখানে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মাজার জিয়ারত করেন।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, তারেক রহমান একটি মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন। যেখানে মানুষ শান্তিতে থাকবেন, কোনো নাগরিক তার অধিকার বঞ্চিত হবেন না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গণতন্ত্র বারবার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে দেশে স্বৈরশাসন, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতা জনগণের প্রত্যাশাকে বারবার ব্যাহত করেছে। বিশেষত, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার অভাব এবং স্বচ্ছতার সংকট গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি দুর্বল করে দিয়েছে। বিএনপির ৩১ দফা মূলত এই সংকটগুলো চিহ্নিত করে একটি নতুন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছে। এটি কেবল সমস্যাগুলোর সমাধানই নয়, বরং একটি টেকসই গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনাও প্রস্তাব করেছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যে ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছে, তা বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় একটি সুসংহত ও সময়োপযোগী নীতিমালা হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। এই প্রস্তাবনায় গণতন্ত্রের বর্তমান সংকট নিরসন এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাগুলো নিয়ে একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হয়েছে। তাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ৩১ দফা জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে উঠে এসেছে। গণতন্ত্র, সুশাসন এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি অঙ্গীকারের ভিত্তিতে প্রণীত এই দফাগুলো দেশকে নতুন এক যুগের পথে নিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের সংকট বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিনের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির কারণে রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে নানান সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির ৩১ দফায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং শক্তিশালীকরণের জন্য স্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করার মতো বিষয়গুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

বিএনপি প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপক্ষে, বরং জনগণের ঐক্য ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার পক্ষে বিশ্বাসী উল্লেখ করে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একটি স্থিতিশীল গণতন্ত্র কায়েম করার জন্য বহুদলীয় রাজনীতির ভিত্তিতে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সংসদীয় গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক দর্শন অনুসারে, গণতান্ত্রিক জীবনধারা এবং গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থার রক্ষাকবচ হিসেবে জাতীয় সংসদকে শক্তিশালী করে জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়।

জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুসৃত বেগম খালেদা জিয়া সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে পার্লামেন্টারি পদ্ধতির সরকার প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করেছে। বিএনপি সব মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে এবং সফলভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে, সব মত ও পথের মানুষের সঙ্গে আলোচনা, মতবিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে এমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে, যেখানে সামাজিক বৈষম্য দূর করা হবে এবং জ্ঞানবিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তির সমন্বয়ে ভবিষ্যৎমুখী মানবিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তোলা হবে।

বিএনপি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে যে, প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও অভিপ্রায় অনুযায়ী, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক একটি সম্মিলিত, বৈষম্যহীন এবং সম্প্রীতির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে। যার মাধ্যমে এই রাষ্ট্রে ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, গোত্র,পেশা নির্বিশেষে সবাইকে স্নেহ ও ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে, একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে এগিয়ে যাবে।

লিফলেট বিতরণ শেষে গণমিছিলে সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্যানেল মো. সারোয়ার হোসেন, এম মোরশেদ হাজারী, ওসমান তাহের সম্রাট, আহমদ গনি চৌধুরী, কে এম আজম, হাসান চৌধুরী, সেলিম খান, মুহাম্মদ হোসেনসহ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

বাতায়ন২৪ডটকম।। মেজবাহুল হিমেল।। 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved © batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com