বৃহস্পতিবার ( ২৩ অক্টোবর) সন্ধা ৭ টায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডে জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে উপজেলা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি। প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ইয়াসিরের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন, হাসানুজ্জামান নাজিম প্রমুখ।
মোস্তফা বলেন, ‘ পরিবর্তন হলে দেখবেন যখন সরকার গঠন হবে। তখন দেখবেন জুলাই সনদের যে ইমপ্লিমিন্টের দিকনা প্রয়োগের দিকটা , এটা কোন জায়গায় নিয়ে যায় সেটা আপানার দেখতে পারবেন। ’
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে সংশয়ের যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ সবই দেখতেছি। আগে নির্বাচনটা হোক। তারপর মানবো কি মানবো না সেটা তো তাদের মনের ভেতরেই আছে। আমি মনে করি বিএনপির এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান মহোদয়। উনি বিএনপির মূল চালিকাশক্তি। ওসনার নেতৃত্বে বিএনপি পরিচালিত হচ্ছে। ওনার কি এখানে (সনদে) স্বাক্ষর আছে। ওনার স্বাক্ষর তো নাই। ওনাদের যারা বডি আছে। যারা স্থায়ী কমিটির সদস্য। তাদের সিদ্ধান্ত কিভাবে তারা ইমপ্লিমেন্ট করবে সেটা তাদের ব্যাপার। আমি মনে করি একটা সনদ তৈরি করা খুবই সোজা। কিন্তু সেটা ইমপ্লিমেন্ট করা এটা খুবই কঠিন বিষয়। এনসিপি বলছে এখনই আইনি ভিত্তি দিতে হবে। আইনিভিত্তি সংবিধান ছাড়া দেয়ার কোন সুযোগ নাই। আমি সেকারণে মনে করি। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হওয়া অনেক দুর।’
এসময় মোস্তফা অভিযোগ করেন, ‘জাতীয় পার্টিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। শেখ হসিনা যেভাবে জাতীয় পার্টিকে ডিপ্রাইভ করে কোনঠাসা করে আইসোলেটেট করে রেখেছিলেন। বর্তমান ইন্টিরিম সরকারও একই কাজ করছেন। অভ্যুত্থানের পরই দেখলাম জাতীয় পার্টির ওপর বৈষম্য। জাতীয় পার্টিকে সংলাপে ডাকা যাবে না। নির্বাচন করতে দেয়া যাবে না। জাতীয় পার্টিকে কোন সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। নানা কথা। আপনারা জাতীয় পার্টিকে ভাঙ্গার জন্য আওয়ামীলগের যারা চিহ্নিত দালাল,নির্বাচনি পোস্টারে যারা শেখ হাসিনার ছবি ছাপিয়ে রাজনীতি করেছে। তাদেরকে দিয়ে জাতীয় পাটিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র করছেন। লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে আপনারা টালবাহনা করছেন। সেকারণে আমি বলি যেকোন সময় আন্দোলনের ডাক আসতে পারে । অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিবো।’
মোস্তফা বলেন, ‘ আমরা একবার বলেছিলাম। নো এরশাদ নো ইলেকশন। এবার যদি এরকম জাতীয় পার্টির ওপর বৈষম্য করা হয়। নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র করা হয়। তার দাঁদভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রয়োজনে নো জাতীয় পার্টি নো ইলেকশন। তবে নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। যদি সেটা না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ইলেকশনে যাবে না।
ভিডিও দেখুন>>>
https://www.facebook.com/share/v/1G65WUF8iy/
মোস্তফার অভিযোগ, বর্তমান ইন্টিরিম সরকারের প্রধান ন্যায় বিচারের জন্য এসে অন্যায়ের জনক হয়েছেন। অন্যায়ের জন্মদাতা তিনি। তিনি এসেই বললেন যে ছাত্ররা আমার নিয়োগ কর্তা। আপনি তো ওখানেই পক্ষপাতিত্ব করলেন।
মোস্তফা প্রশ্ন করে বলেন, ‘ ছাত্রদের আন্দোলনে কি এই অভ্যূত্থান হয়েছে? ঢাকা ইউনিভার্সিটির কথা বলেন। যারা আজকে বড় বড় নেতা। যারা আজকে উপদেস্টা হয়ে আছেন। তাদের মধ্যে পুরো ইউনিভার্সিটিতে ৩৮ হাজার ছাত্র। তাদের কি একটা ছাত্র শহীদ হয়েছে? হয়েছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের। প্রাইভেট কলেজের। ঠেলাওয়ালা, মজুর। কষক, শ্রমিক অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা যারা বৈষম্যের শিকার। তাদের সামগ্রিক আন্দোলনের কারণে এই আন্দোলন সফল হয়েছে। আজকে তারা একক দাবিদার হয়েগেছে।’
মোস্তফা বলেন, ‘ ড. ইউনুস সাহেব আপনি জাতিসংড়ঘের মিশনে পরিছয় করিয়ে দেন। মাস্টারমােইন্ড হলো মাহফুজ। মাস্টারমাইন্ড মানে পরিকল্পনাকারী। পরিকল্পনা করেই যদি আপনারা সরকারের পতন ঘটান। তাহলে আপনাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। ‘##
বাতায়ন২৪ডটকম।। মেজবাহুল হিমেল।।