সংবাদ শিরোনাম :
‎রংপুরে চায়না দুয়ারি রিং জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দিলো প্রসাশন। আফগানিস্তানের বিজ্ঞাপনে ইধিকা নিরব সেনাবাহিনী কর্তৃক রংপুরে এনসিপি এবং বিএনপি নেতাকর্মীদদের জেরা প্রসঙ্গে সার্জিস আলমের কড়া হুশিয়ারি!!! তারাগঞ্জে ৮১ বোতল ফেন্সিডিলসহ মোটরসাইকেল উদ্ধার:মাদক ব্যবসায়ী উধাও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রবির রক্তদান কর্মসূচি পীরগঞ্জে কন্দাল ফসলের ৩ দিনব্যাপী কৃষি মেলার  উদ্বোধন আজ রংপুরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হারাগাছে অনলাইন ক্যাসিনো সহ সকল জুয়া বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন জামায়াতে ইসলামীর আমির: ‘আমরা ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে চাই’ আওয়ামীলীগ একটি ভন্ড প্রতারক সন্ত্রাসী দুর্নীতিবাজ দল:অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু
আজ রংপুরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

আজ রংপুরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; captureOrientation: null; brp_mask:0; brp_del_th:null; brp_del_sen:null; delta:null; module: photo;hw-remosaic: false;touch: (-1.0, -1.0);sceneMode: 2;cct_value: 0;AI_Scene: (-1, -1);aec_lux: 0.0;aec_lux_index: 0;HdrStatus: auto;albedo: ;confidence: ;motionLevel: 0;weatherinfo: null;temperature: 31;

  • ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ

রংপুরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ পালিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রংপুর।।বাতায়ন২৪ ডটকম।।

“প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সকলে, একসাথে, এখনই” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে

আজ ১লা জুন রবিবার  সকাল সাড়ে ১০ টায় রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে অংশ নেয় নাগরিক কমিটি।

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষায় বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টি, অধিপরামর্শ কার্যক্রম এবং এ সংক্রান্ত বহুমুখী উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে ১৯৭৩ সাল থেকে প্রতিবছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়ে আসছে।

প্রতি বছর দিবসটি সারা বিশ্বে একটি নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হয় এবং এবছর এই দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়’ (Ending Plastic Pollution)। এবছর বিশ্ব পরিবেশ দিবস আয়োজনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু প্রদেশকে নির্ধারণ করা হয়েছে।

যারা ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণমুক্ত একটি অঞ্চল হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ৪৩০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন হয় যার দুই তৃতীয়াংশ একক ব্যবহার প্লাস্টিক (সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক) বর্জ্য হিসেবে যত্রতত্র ফেলা হয়।

এই বর্জ্য পানি, বায়ু ও মাটি দূষণসহ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি সাধন করছে। তাই প্লাস্টিক দূষণ রোধে এ বছর জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) কর্তৃক একটি বৈশ্বিক চুক্তি সম্পাদনের ঘোষণা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছরের আগস্ট মাসে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১৭৫টি দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত Intergovernmental Negotiating Committee বা আইএনসি আলোচনায় বসবে।

যেখানে প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাস, এখাতে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার নিষিদ্ধ, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণসহ একটি আইনি বাধ্যবাধকতা সম্পন্ন চুক্তি হবে। সার্বিকভাবে, ২০২৫ সালের বিশ্ব পরিবেশ দিবস বিশ্ববাসীর কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

বৈশ্বিক পর্যায়ে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসনে ঘাটতি: জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে প্লাস্টিক উৎপাদিত হয় এবং এই প্লাস্টিক উৎপাদনে প্রতি বছর বৈশ্বিক মোট উত্তোলিত তেলের ১২ শতাংশ এবং গ্যাসের ৮.৫ শতাংশ ব্যয় হয়।

প্রতি বছর বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাসের ৩.৪ শতাংশ প্লাস্টিক উৎপাদনের উৎস থেকে নির্গমণ হয় যা জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে।

কিন্তু, বাংলাদেশসহ প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ১৯৪টি দেশের মধ্যে ১৮৩টি দেশই তাদের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অনুমিত অবদানে (এনডিসি) প্লাস্টিক থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের তথ্য প্রদান করেনি।

ফলে প্লাস্টিক থেকে কার্বন নিঃসরণের তথ্য জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনার বাইরে থাকছে।

এছাড়া, প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে ইউএনইপি আন্তর্জাতিকভাবে বাধ্যবাধকতামূলক চুক্তির প্রস্তাব করলেও বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো প্লাস্টিকের উৎপাদন সীমা নির্ধারণের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে।

অন্যদিকে, কোনো প্রকার পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়াই সারা বিশ্বে প্রতিবছর ৩৫০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য যত্রতত্র ফেলা হয় যার অর্ধেক ভাগাড়ে যায়। এই অপচনশীল প্লাস্টিক দীর্ঘদিন পরিবেশে টিকে থাকে এবং পরবর্তীতে খাদ্য চত্রের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে ক্যান্সার ও বিবিধ স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

উল্লেখ্য, প্লাস্টিক বর্জ্য শুধু সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রেরই বাৎসরিক ১৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি করে।

বাংলাদেশে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে সুশাসনের ঘাটতি: বাংলাদেশে শহর ও নগরে প্লাস্টিক বর্জ্যের অব্যবস্থাপনা পরিবেশ সুরক্ষায় একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৮ লাখ ২১ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে শুধু ঢাকা শহরে এর পরিমাণ দৈনিক ৬৪৬ টন যার একটি বড় অংশ খাল, বিল, নদী ও জলাশয়ে যায়।

বাংলাদেশে প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের একটি বড় অংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে হয় যা পরিবেশবান্ধব নয়। এছাড়া, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা এবং সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ, পৃথকীকরণ এবং পুনঃপ্রক্রিয়াজতকরণের সক্ষমতা এবং পদক্ষেপের ঘাটতি বিদ্যমান।

ফলে প্লাস্টিক বর্জ্যের একটি বড় অংশ পয়ঃনিষ্কাশনের নর্দমাসহ নদী-নালা ও জলাশয়ের তলদেশে জমা হয়।

এই বর্জ্য নদীর ড্রেজিংসহ বাংলাদেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে ব্যয়বহুল করছে, জলজ বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি করছে, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবকে তরান্বিত করছে।

কিন্তু, প্লাস্টিক বর্জ্যের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে নাগরিক সচেতনতার ঘাটতি বিদ্যমান এবং তাদের সম্পৃক্ত করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কার্যক্রম বাস্তবায়নে সরকারের উদ্যোগও সীমিত।

অন্যদিকে, একক ব্যবহার পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন এবং বিপণন নিষিদ্ধ হলেও তা নিশ্চিতে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক আইন প্রয়োগে ঘাটতিসহ বিবিধ অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে পলিথিন ব্যবহার অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় ২ হাজার ৫০০ প্রকারের।

বাতায়ন২৪ডটকম/শরিফুল ইসলাম।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved © batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com