স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রংপুর।।বাতায়ন২৪ডটকম
জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হওয়ার পরে নির্বাচনের সময় সীমা ঘোষণা করা হলে জনগণের প্রত্যাশা পুরণ হতো বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
শুক্রবার ( ৬ জুন) রাতে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধনের পর তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন। এসময় এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক আতিক মুজাহিদ উত্তরাঞ্চলীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফরাজানা দিনা ও আসাদুল্লাহ আল গালিব, কেন্দ্রীয় সদস্য রকিব মাসুদসহ জেলা, মহানগর ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক নির্বাচনের সময়সীমা প্রসঙ্গে আখতার বলেন, ‘ আমরা মনে করি জুলাই ঘোষণা পত্র-জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হওয়ার পরে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করা হলে জনগনের প্রত্যাশা পূরণ হতো। সরকার নির্বাচনের জন্য যে সময়সীমার কথা বলেছে, এই সময়সীমার মধ্যে সংস্তার ও বিচারকে দৃশ্যমান করে জুলাই ঘোষণা পত্র, জুলাই সনদকে বাস্তবায়ন করে নির্বাচনের জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা যদি নিশ্চিত করতে পারে। তাহলে সরকার এপ্রিলের মধ্যে যে নির্বাচনের কথা বলেছেন তাতে আমাদের তরফ (এনসিপির) থেকে কোন আপত্তি নেই। ‘
এমন নির্বাচন হতে হবে যাতে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সংস্কারের মধ্যে দিয়ে উপহার পাওয়া যাবে উল্লেখ করে আখতার বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে আহবান জানাই, যে দুই হাজার মানুষ ২৪ এর অভ্যুত্থানে জীবন দিয়ে শহীদ হয়েছেন। আমাদের সামনে অনেক আহত ভাইরা বসে আছেন। অনেক যোদ্ধা যারা এই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছেন। তাদের সকলের প্রত্যাশা বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি যেভাবে আগে পরিচালিত হয়েছে। যে মাফিয়া তন্ত্র, জুলুম তন্ত্র, ফ্যাসিবাদের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তেমন বাংলাদেশ তারা চান না। তারা চান একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সংস্কারের মধ্যে দিয়ে তাদেরকে উপহার দিতে হবে। ‘
নির্বাচনের আয়োচন যেন শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয় হয় দাবি করে আখতার বলেন,‘ নির্বাচন আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা শুধু নয়, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে গণতন্ত্রটা আমরা প্রত্যাশা করি। তা যেন বাংলাদেশের সাংবাবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে শক্তিশালী ভাবে বহাল হয়, বাংলাদেশের সংবিধান, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসনসহ প্রত্যেকটা জায়গায় যেন গণতন্ত্রের ছোয়া আসে। মানুষের অধিকার বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা আষে। এই প্রত্যেকটা বিষয়কে সংস্কারের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত করে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। ‘
নতুন সংবিধানের জন্য গণ ভোট আয়োজনের দাবি জানিয়ে আখতার বলেন, ‘ বাংলাদেশে মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে এক ফ্যাসিবাদি সংবিধানের মধ্য দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে হুমকির মধ্য দিয়ে যেতে দেখেছে। আমরা চাই না যে ফ্যাসিবাদি সংবিধান বাংলাদেশে রয়েছে এই সংবিধানে সামনের বাংলাদেশ পরিাচলিত হোক। আমরা একটা নতুন সংবিধান প্রত্যাশা করি। সেই প্রত্যাশার জায়গা থেকে সামনের দিকে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যাতে বাংলাদেশে একটি নতুন সংবিধান উপহার দিতে পারে। সেই নতুন সংবিধান প্রণয়নের ম্যান্ডেটসহ আগে গণ পরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। ‘
এর আগে বিকেলে তিনি রংপুর পৌছান। পরে ঈদ মোবারক এবং ইনকিলাব জিন্দাবাদ শ্লোগানে কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়। পরে তিনি নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক করবেন। ঈদ উল আজহার নামাজ আদায় করবেন নিজ গ্রাম টেপামধুপুরের ভাইয়ার হাট এলাকায়। এছাড়াও তিনি পীরগাছা-কাউনিয়ার শহীদ ও আহত পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ছাড়াও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করবেন। ৯ জুন কাউনিয়া মোফাজ্জল হোসেন মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্প্রীতি ও ঐক্য সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ওইদিন বিকেলে তার ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।
বাতায়ন২৪ডটকম /রিয়াদ ইসলাম