সংবাদ শিরোনাম :
রংপুর মেডিকেলে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস পালিত তিন দিন ব্যাপি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক মেডিকেল ইক্যুইপমেন্ট এক্সপো-২০২৫ অনুষ্ঠিত রংপুরে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে রংপুরে ব্যবসায়ীদের আধাবেলা ধর্মঘট পালন বিসিবি থেকে ১৯ কোটি টাকা লুটঃ দুদকের অভিযান অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ আর নেই পারমাণবিক প্রচেষ্টা ত্যাগ না করলে ইরানে সামরিক হামলা : ট্রাম্প রংপুরে সরকারী পতিত জমিতে কবর স্থান ও ঈদগাহ মাঠ বরাদ্দ: মুসুল্লিদের দোয়া ‎শিক্ষক-ছাত্রী কণ্ঠসদৃশ অডিও ফাঁস বেরোবিতে কুপ্রস্তাবের শর্তে ছাত্রীর সিজিপিএ বৃদ্ধি। ‎
রংপুরে বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেয়ে।

রংপুরে বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেয়ে।

রংপুর প্রতিনিধি,বাতায়ন২৪ডটকম

সারাদেশে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। অনেকেই বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিতে গেলেও ব্যতিক্রম ছিল রিমার গল্পটা। বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিতে গেছেন তিনি। এসএসসির প্রথম দিনের পরীক্ষায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন শিক্ষার্থী রিমা আক্তার।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার চেংমারী ইউনিয়নের পশ্চিম তিলকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এসএসসি পরীক্ষার্থী নাম রিমা আক্তার। তিনি উপজেলার তালিমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক শাখার একজন ছাত্রী। এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে শুকুরেরহাট উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের ২২ নং কক্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।

জানা গেছে, তিলকপাড়া গ্রামের কৃষক মতলব মিয়ার তিন সন্তানের মধ্যে রিমা সবার ছোট। রিমার বড় দুই বোনের বিয়ে হয়েছে আরও আগেই। গত বুধবার রাত ১১টার দিকে বুকে ব্যাথা অনুভব করেন মতলব মিয়া। পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষায় অংশ নেন রিমা।

এসএসসি পরীক্ষার্থী রিমা আক্তার বলেন, আামর বাবার স্বপ্ন ছিল আমি সরকারি বড় অফিসার হবো। কিন্তু হঠাৎ করেই বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। পরীক্ষা দেওয়ার মানসিকতা ছিলনা। কিন্তু বাবার স্বপ্নের কথা মনে হলে অনেক কষ্ট করে পরীক্ষার অংশগ্রহণ করেছি। আল্লাহর রহমতে পরীক্ষা ভালো হয়েছে। সবাই বাবা এবং আমার জন্য দোয়া করবেন।

গ্রামের বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, রিমা ছোট মেয়ে সবার আদরের। বিশেষ করে তার বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল রিমাকে নিয়ে। কিন্তু হঠাৎ তার মৃত্যু হলো। অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়লো মেয়েটা।

তালিমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তসলিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। রিমাকে রিমাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছি। বৃহস্পতিবার সকালে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে সে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও শিক্ষা কমিটির সভাপতি বিকাশ চন্দ্র বর্মন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ওই পরীক্ষার্থী যেন সবগুলো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ভালো ফলাফল করতে পার, আমরা খোঁজখবর রাখবো।

বাতায়ন২৪ডটকম

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved © batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com