## শ্মশানের জমি এবং কালিপূজা নিয়ে বিরোধের জের দাবি পরিবারের
## দেয়াল টপকিয়ে পেশাদার খুনিরা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হত্যাকান্ড নিশ্চিত করে
স্টাফ করেপেন্ডেন্টে, রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
কথা ছিল ১৬ ই ডিসেম্বরের প্রস্তুতি সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে নব যোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করার। কিন্তু সেটি হলো না। বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায়ের (৭৫) লাশ মিললো স্ত্রী সুবর্না রায় (৬৫) সমেত নিজের বাড়িতে। পরিবারের দাবি, শ্মশানে জমি দান এবং কালিপূজা করা নিয়েও ছিল বিরোধের জেরেই হত্যাকান্ড। হত্যাকারীরা গ্রামেরই মানুষ। পুলিশ বলছে, ‘ দেয়াল টপকিয়ে পেশাদার খুনিরা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হত্যাকান্ড নিশ্চিত করে। পারিপার্শ্বিক সব কিছু ধরেই তদন্তের পাশাপাশি গ্রেফতার অভিযান চলছে।’
রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় রংপুরের তারাগঞ্জের পূর্ব রহিমাপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে লাশ দুটি উদ্ধার, সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে পুলিশ, র্যাব, সিআইডি ও পিবিআই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সেখানেই করা হবে ময়না তদন্ত।
ঘটনাস্থলে প্রথম উপস্থিত হওয়া তারাগঞ্জ থানার এসআই মো. আবু ছাইয়ুম বলেন, “ এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। বাড়ির ভেতরে ডাইনিং রুমে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায়ের এবং রান্নাঘরে সুর্বণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পাই। প্রাথমিকভাবে দুজনেরই মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। ’
পূর্ব রহিমাপুর গ্রামের এই বাড়িতে থাকতেন ৭৫ বছর বয়সী কুর্শা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আহবায়ক, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এর অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যোগেশ চন্দ্র রায় ও তার স্ত্রী সুবর্ণা রায়। তার দুই পুত্র শোভেন চন্দ্র রায় পুলিশে চাকরি করেন। বড় ছেলে এএসআই প্রেষনে র্যাব-৫ এর সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ইউনিটে কর্মরত। ছোট ছেলে কনেস্টবল রাজেশ খান্না চন্দ্র রায় ঢাকায় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) তে কর্মরত আছেন। স্ত্রী সন্তান নিয়ে তারা স্বস্ব কর্মস্থলে থাকেন।
ওই বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন এবং জমিজমা দেখাশুনা করেন নিমাই চন্দ্র এবং তার পুত্র দীপক চন্দ্র রায়। প্রতিদিন সকালে তারা একসাথে নাস্তাও করেন। ঘটনার বর্ননা দিয়ে দীপক চন্দ্র জানান, ‘ আমরা প্রতিদিন এই বাড়িতে কাজ করি। তার জমিজমা আদিবাড়ি (বর্ গা) করি। ধান মাঠ থেকে ওনার খুলিবাড়িতেই কাটামাড়ির কাজ করি। প্রতিদিন সকালে যখন ধানের আটি যখন আমরা পালা দেই। তখন ওনি( জোগেশ) আমাদের কাছে আসেন এবং বসে থাকেন, আলোচনা করেন। একফাঁকে আমাদের নিয়ে নাস্তা করেন। এমন কোন দিন নাই যে তিনি আমাদের ছেড়ে নাস্তা খান।
দীপক চন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘ আজ (৭ ডিসেম্বর) সকালে ধান পালা দেয়া শেষ হলেও তিনি আসেন নি। তাকে ডাকাডাকি করি। তবুও শুনছেন না। যখন উঠছে না তখন আমি ঘরের পিছন পাশে গিয়ে জানালায় ধাক্কা দেই। তাও ওঠে না তারপর দাদির রুমের পেছনে গিয়ে জানালায় খুব ধাক্কা দিলাম। কিন্ত ওঠে না। এরমধ্যে আশেপাশের অনেক মানুষ আসলো। পরে সবার সন্দেহ হলো। কিছু হয়েছে কিনা। তখন আমি একটা ভাঙ্গা মই জোড়া দিয়ে গেটের ওপর দিয়ে বড়িতে ঢুকি। দেখলাম থাকার রুম খোলা। কিন্তু ঘরে মানুষ নাই। তখন টেবিলের ওপর থেকে চাবি নিয়ে প্রধান গেটটা খুললাম। তখন অনেক মানুষ ঢুকলো। অন্য ঘর গুলো দেখলাম নাই। ডাইনিং রুমের দরজা বাইরে থেকে লাগানো ছিল। সিটকিনি খুলে দেখি দাদুর রক্তাত্ব লাশ। প্রচুর রক্ত মেঝেতে। এরপর রান্নাঘরের দরজা খুলে দেখি বেসিনের পাশে দীদার রক্তাত্ব লাশ পড়ে আছে। পরে আমরা পুলিশকে খবর দেই।’
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। আসে অপরাধ তদন্ত সংস্থা-সিআইডি, র্যাপিড একশ ব্যাটালিয়ন( র্যাব) ও পিবিআিই। ছুটে আসেন অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আখতারুজ্জামান বুসনিয়া, পুলিশ সুপার মারুফাত হোসাইন,ইউএনও মোনাব্বর হেসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিট আহবায়ক ডা. আলীহাসান। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত আলামত সংগ্রহ, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর মরদেহ দুটি নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়না তদন্তের জন্য।
সুরতহাল প্রতিবেদন এবং প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ সুপার মারুফাত হোসাইন জানান, ‘ সুবর্ণার কপালে এবং জোগেশের মাথার পেছনে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। সেটা দাও হতে পারে। তবে আমার ধারণা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আঘাত করেই এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। তিনি বলেন, মোবাইল ঘেটে আমরা এখন পর্ যন্ত যেটা নিশ্চিত হয়েছি শনিবার ( ৬ ডিসেম্বর) রাত ৯ টা ২২ মিনিটে ছোট ছেলের সাথে কথা হয়েছিল তাদের। আলামত দেখে যেটা আমরা ধারণা করছি যে, শনিবার রাতের প্রথম ভাগে দশটা থেকে ১১ টার মধ্যেই এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সুবর্নার লাশ রান্নাঘরের বেসিনের পাশে ছিল। মনে হচ্ছিল। এসময় তিনি থালাবাটি পরিস্কার করছিলেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ‘ বাড়িটা পুরো সুরক্ষিত। প্রধান ফটকে ভেতর থেকে তালা দেয়া ছিল। বাড়ির উত্তর সাইটে শুধুমাত্র রুম নাই। ওখানে একটু ফাঁকা। ওই সাইট দিয়েই দেয়াল টপিকিয়ে আসছে বলে আমাদের ধারণা। সেখানে কাঠাল গাছ দিয়ে টিন বেয়ে পাশে টিউবওয়েলে পা দিয়েই তারা ভেতরে ঢুকেছে বলে আমরা ধারণা করছি। টিউবওয়েলের মাথায়ও পায়ের চিহ্ন আমরা পেয়েছি। আমরা ময়না তদন্তের পর বলতে পারবো। কিভাবে হত্যাকান্ডটি হলো। তদন্ত চলছে। আমরা আশা করছি দ্রুত হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। ‘
পরিবারের দাবি শ্মশান , জমি ও কালিপূজা নিয়ে বিরোধেই ঘটনা:
বীরমুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায়ের বড় পুত্র পুলিশ থেকে প্রেষনে র্যাব-৫ অধীনে জয়পুরহাট সিপিসি-৩ তে এএসআই শোভেন চন্দ্র রায় জানান, ‘ আমি সকাল ৯ টায় মোবাইল ফোনে শুনতে পেয়ে বাড়িতে আসি। আমার বাবার কোন শত্রু ছিল না। ওই যে একটা শ্মশান দেখতেছেন। ওই জমিটা বাবা দান করেন। তখন থেকে বাবার কিছু শত্রুতা তৈরি হয়। যে কেন ও দান করবে জমি??এটা নিয়ে যে শত্রুতা তৈরি হয়েছে এটা এলাকাবাসি সবাই জানে। এলাকাবাসির মুখে যতটুকু শুনি, মোবাইল ফোনে যতটুক শুনি বাবা মা এটা নিয়ে খুব হুমকির মধ্যে ছিল। তারা এ নিয়ে ডিপ্রেশনে ভুগছিল। যে যখন তখন তাদেরকে মারতে পারে। এছাড়াও আরও একটি জমি আছে আমাদের পরিবার। ওই জমিটাতে বাবার বাবা একজনকে বাড়ি করে থাকতে দিয়েছিল। তিনি উঠে গেছেন। ওই জমিটা নিয়েও গন্ডগোল। আমার বাবার শত্রু বলতে আমার গ্রামের মানুষ। এটাই ফাইনাল কথা। আপাতত আর কিছু বলছি না। আমার সিনিয়র স্যাররা এসেছেন। তারা দেখছেন। আমি চাই এই ঘটনার ৫ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিয়ে বিচার নিশ্চিত করা হোক।’
যোগেশ চন্দ্র যে গ্রামে থাকেন সেটি হিন্দুপাড়া হিসেবে পরিচিত। বেশিরভাই বাসিন্দাই হিন্তু পরিবারের। তিনি ছিলেন খুব দানশীল। শ্মশান ছাড়াও ক্লিনিকসহ বিভিন্ন ভালো কাজে জমি দান করেছিলেন। জমি জমা দান করা সহ জমি নিয়ে গ্রামের অনেকের সাথেই ছিল বিরোধ। সাথে ছিল কালী পূজা করা নিয়েও বিরোধ। একপক্ষ তাদের সাথে কালিপূজায় অংশ নিতেন না। এ ঘটনায় স্বজনরাও দিশেহারা।
নিহতের বড় পুত্র বধু কল্যানী রায় জানান, ‘ আমি চাই তাদের বিচার হোকে। যারা আমার শশুড়শাশুড়ীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমরা তাদের দেখতে চাই। যারা এই হত্যাকন্ড ঘটিয়েছে। যাদেরকে মারা হয়েছে। তারা দুইদিন পর চলে যাবে। বয়োবৃদ্ধ। অসুস্থ। আমার শশুড়কে তিনবার বাইরে থেকে চিকিৎসা করে নিয়ে এসেছি। তাদেরকে কেন মারা হলো। যদি আমাদের মতো ইয়াংদের মারতো। সেটা আলাদা কথা ছিল। এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। দেখি পুলিশ কি করে।’
ভাই ভাবির নির্ মম হত্যার কথা শুনে কুড়িগাম থেকে ছুটে এসেছেন বোন রেখা রানী জানান, ‘ যারা এই কাজটা করেছে। তাদের দ্রুত ধরেন। তাদের ফাঁসি হওয়া উচিৎ। চোখ দিয়ে না দেখতে পারলেও শুনবো তো কান দিয়া।’
বীরমুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্রের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মমতা রায় জানান, ‘ আসলে এটা আমাদের ধারণার বাইরে।এটা আমরা ধারণাও করতে পারছি না যে এই ধরণের কোন ঘটনা আমাদের পরিবারে ঘটতে পারে। আমরা দেখতে চাই। কে বা কারা তাদের কি এমন মনের আক্রোশ যে তারা দুইজন মৃত পথযাত্রী মানুষকে এভাবে খুন করলো। তাদের আমরা দেখতে চাই। যেন সেটা দ্রুত হয়। ‘
বীরমুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্রের বড় পুত্রের শ্যালকের বউ সাথী রায় জানান, ‘ ওনারা দুইজনই খুব পরিপিাটি মানুষ ছিলেন। তাদের কোন শত্রু ছিল না। যারা এই নিরপরাধ মানুষদুটাকে এভাবে খুন করলো। আমরা খুনের বদলে খুন চাই। ‘
নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফুসে উঠেছেন এলাকাবাসী এবং মুক্তিযোদ্ধারা। গতকাল রোববার ( ৭ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভায় নতুন ইউএনও কে ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কথা ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায়ের। কিন্তু তার এই নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ।
তারাগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিটের যুগ্ম আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা মনছুর আলী পাটোয়ারী জানান, ‘ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) আমাদের সিদ্ধান্ত হয় রোববার ( ৭ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভায় আমরা নতুন ইউএনওকে ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবো। তখন যোগেশ আমাদের বলে সেই ক্রেস্টটি তিনি দিতে চান। তখন আমরা তাকে দিতে বলি। রোববার মিটিং শুরুর আগেই শুনতে পাই তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সবাই ছুটে এসেছি। এনিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। দেশ স্বাধীন করেছি কি এভাবে মৃত্যুর জন্য?? প্রশ্ন রাখেন এই বীরমুক্তিযোদ্ধা।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিটের আহবায়ক ডা. আলী হাসান জানান, আমরা রাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্বা চাই। যাতে আমাদের শেষ বয়সে এভাবে আর মৃত্যুর মুখোমুখি হতে না হয়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারী যেই হোক তাদের গ্রেফতার করা না হলে আবারও নিজেদের নিরাপত্বার জন্য যুদ্ধ নামবো আমরা। ‘
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শাস্তি দাবি করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার।
রংপুর-২ আসনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার জানান, ‘ এভাবে একজন বয়োবৃদ্দ বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীকে হত্যা নজীরবিহীন। এটা কোনভাবেই মানা যাবে না। মেনে নেয়ার মতো নয়। আমরা চাই ১২ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হোক। তাদের বিচার নিশ্চিত করা হোক।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর ও রংপুর-২ আসনে জামায়াত প্রার্থী এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ বিজয়ের মাসে এভাবে একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে। সেটা পরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা চাই যতদ্রুত সম্ভব হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। বীরমুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপত্বা নিশ্চিত করা না গেলে জিাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত হবো। ‘
এদিকে শ্মশান, জমি জমা, কালিপূজা বিরোধসহ পারিপার্শিক সব বিষয়কে নিয়েই তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি ড, আখতারুজ্জামান বসুনিয়া জানান, ‘ সবগুলো বিষয় নিয়ে আমরা কনসিডারে নিয়েছি। পারিপার্শ্বিক যত ইস্যু আছে। সবগুলো নিয়ে আমরা এনালাইসিস করছি। যেখানে যাকে প্রয়োজন, তাকেই জিজ্ঞাসাব করা হবে। এ ঘটনায় একটি মামলা হবে। সেই মামলার আলোকে আমরা তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নিবো। যারা মামলায় সাসপেক্ট থাকবে তাদেরকে প্রয়োজনে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে যাতে কোন নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার না হন সেটিও ইনশিওর করবে পুলিশ। এরই মধ্যে আমরাদের তদন্ত এবং গ্রেফতার অভিযান শুরু হয়েছে।
বাতায়ন২৪ডটকম।। সমামা।। মেমোহি।।