বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল দেশের খেলাধুলার প্রধান ভেন্যু ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে। ২০১০ সালের ২৯ জানুয়ারি সাউথ এশিয়ান গেমসে (এসএ) নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বৈশ্বিক ফুটবলে পথচলা শুরু হয়েছিল সাবিনা খাতুনদের। ১৫ বছরে বাংলাদেশের মেয়েরা ২৩ দেশের বিপক্ষে ৭৩টি ম্যাচ খেলেছে। তবে অভিষেক হওয়া ভেন্যু ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় নারী ফুটবল দলের ম্যাচ খেলা হয়নি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে।
ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল সর্বশেষ খেলেছে ২০১৩ সালের ২৫মে ফিলিপাইনের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। দীর্ঘ ১২ বছর ৬ মাস পর নারী জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের দেশের প্রধান এই ভেন্যুতে পা পড়বে আগামী ২৬ নভেম্বর। ওই দিন মালয়েশিয়ার বিপক্ষে আফঈদা খন্দকাররা খেলবেন ত্রিদেশীয় কাপের প্রথম ম্যাচ। অন্য দলটি আজারবাইজান। ২ ডিসেম্বর ইউরোপের কোনো দেশের বিপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দল প্রথমবার খেলতে নামবে ওই দিন।
নারী ফুটবলাররা এখন বিশেষ ক্যাম্প করছেন চট্টগ্রামে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার বলছিলেন, ‘২৩ নভেম্বর ঢাকায় ফিরবো। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে দুই দিন ২৪ ও ২৫ নভেম্বর ম্যাচ ভেন্যুতে অনুশীলন হবে। ঢাকায় অনুশীলন শুরু করবো ২৩ জনের চূড়ান্ত দল নিয়েই।’ বর্তমানে চট্টগ্রামে ক্যাম্পে আছে ৪৫ জন ফুটবলার। এশিয়ান কাপের জন্য জাতীয় ও অনূর্ধ্ব-২০ দলের অনুশীলন এক সাথেই চলছে।
জাতীয় নারী ফুটবল দল ঘরের মাঠে ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে দেড় বছর পর। গত বছর মে-জুনে রাজধানীর বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আফঈদারা প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে। তার আগের বছর দেশে চারটি ম্যাচ খেলেছিল জাতীয় নারী ফুটবল দল। সিঙ্গাপুর আর নেপালের বিপক্ষে খেলা দুটি করে ম্যাচ হয়েছিল কমলাপুরে। ২০২২ সালে ঘরের মাঠ কমলাপুরে বাংলাদেশের মেয়েরা মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দুটি হয়েছিল কমলাপুরে। এর আগে টানা ৮ বছর বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল দেশের বাইরে খেলেছে ২৫ ম্যাচ।
জাতীয় নারী ফুটবল দল ১৫ বছরে যে ৭৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে তা মাত্র ২১টি দেশে। এর মধ্যে ৯টি ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে, ৬টি কমলাপুরে, চারটি কক্সবাজারে ও ২টি বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। বাকি ৫২ ম্যাচ খেলেছে বিদেশের মাটিতে। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের তিনটি বড় সাফল্যও এসেছে বিদেশের মাটিতে। দুইবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নেপালে এবং প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে মিয়ানমারে বাছাই পর্ব খেলে। এমনকি অনূর্ধ্ব-২০ দল এশিয়ান কাপের টিকিটিও নিশ্চিত করেছে বিদেশে।
বাতায়ন২৪ডটকম।। মেমোহি।।