স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা।।বাতায়ন২৪ডটকম।।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পৃথক গণভোট আয়োজনে অতিরিক্ত এক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি যে জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে। পৃথক গণভোট আয়োজনে অতিরিক্ত এক হাজার কোটি টাকার ব্যয় হবে।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে আজ শনিবার জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম ও এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। গণ-অভ্যুত্থানের তিন মাসের মধ্যে যদি নির্বাচন হয়ে যেত, তবে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সাহস পেত না।’
বিএনপি সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ৩১ দফায় সকল সংস্কার স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা সংস্কারের পক্ষে। পরবর্তী সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে যে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) বাস্তবায়ন করা হবে কিনা। জনগণকে বোকা বানানো হচ্ছে এই বলে যে পিআর ছাড়া নির্বাচন হবে না।’
প্রবীণ এই বিএনপি নেতা মহান মুক্তিযুদ্ধে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান এবং স্বাধীনতা-উত্তরকালে জাতি গঠনে তার ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধীরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধকে নিচে নামিয়ে দিয়ে চব্বিশের আন্দোলনকে বড় করে দেখাতে চায়। আমরা বিভাজন তৈরি করতে চাই না, তবে কিছু লোক ইচ্ছাকৃতভাবে তা করার চেষ্টা করছে। আমি এই বিষয়ে খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই – ১৯৭১ কে ভুলে যাওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ একাত্তর আমাদের জাতির অস্তিত্ব।’
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভারতে বসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। আমি ভারত সরকারকে অনুরোধ করতে চাই শেখ হাসিনাকে হস্তান্তর করুন, কারণ তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
বাতায়ন২৪ডটকম।। মেমোহি।।