সংবাদ শিরোনাম :
স্ত্রীর পরিকল্পনাতে যুবদল নেতা শামীম খুন

স্ত্রীর পরিকল্পনাতে যুবদল নেতা শামীম খুন

Mortician, medical examiner covering dead body in morgue

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সাতক্ষীরা।। বাতায়ন ২৪ডটকম।।

পারিবারিক কলহের কারণে নিজের স্বামীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ফুফাতো ভাইকে নিজের বাড়িতে ডেকে নেয় সে। পরবর্তীতে তার দেখানো পন্থায় ফুফাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে সাতক্ষীরা জেলার তালা থানাধীন ৭নং ইসলামকাঠি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম শামীমকে হত্যা করা হয়।

পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন। পুলিশ সুপার জানান, বিয়ের পর থেকে সে স্বামীর সঙ্গে সুখী ছিল না। প্রায়ই তাকে মারধর করতো শামীম। মারধরের ঘটনা থেকে তার মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ক্ষোভ মিটাতে গিয়ে শামীমকে হত্যার পরিকল্পনা করে বৃষ্টি। শামীমকে হত্যার ৩ দিন আগে ফুফাতো ভাইকে বাড়িতে ডেকে নেয়। হত্যাকাণ্ডের আগের দিন বৃষ্টি তার ফুফাতো ভাইকে শারীরিক নির্যাতনের কথা জানায়। এজন্য স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে বলে বৃষ্টি তার ভাইকে জানায়। শামীমকে হত্যা করতে পারবে কিনা জানতে চাইলে সে সম্মতি জানায়।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের দিন রাতের খাবার খেয়ে শামীম ও তার স্ত্রী তৃতীয় তলার ফাঁকা ফ্ল্যাটে আসে। এর কিছুক্ষণ পর বৃষ্টির ভাই ওই ফ্ল্যাটে আসে। কীভাবে কোপ দিতে হবে তা বৃষ্টি ইশারায় দেখাতে থাকে। একপর্যায়ে ছোরা দিয়ে শামীমের ঘাড়ে কোপ দেয় ওবায়দুল্লাহ। এরপর সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং মৃত্যু হয়। হত্যাকান্ডের পর তারা দু’জন আবারো ছাদে যায়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরাটি পার্শ্ববর্তী জলাশয়ে ফেলে দেয় এবং তারা দু’জনই পুনরায় দ্বিতীয়তলায় এসে শামীমের মায়ের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে থাকে। তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডটি ক্লুলেস ছিল। তাছাড়া নিহত শামীমের মা রশিদা খাতুন এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে তাদের দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে শামীমের স্ত্রী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে। বৃষ্টির ফুফাতো ভাইয়ের বয়স কম হওয়ায় তাকে যশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ডুমুরিয়ার আঠারোমাইল এলাকার তিনতলায় নিজ বাড়িতে খুন হন যুবদল নেতা শামীম হোসেন। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়। নিহত শামীম সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। গত রোববার বিকালে নিহত যুবদল নেতার মা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রশিদা বেগম অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় মামলা করেন। তদন্তে শামীমের মাদক সংশ্লিষ্টতা, পারিবারিক অশান্তি, আর্থিক লেনদেন ও রাজনৈতিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছিল।

বাতায়ন২৪ডটকম/শরিফুল ইসলাম।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved © batayon24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com