রংপুর প্রতিনিধি, বাতায়ন২৪ডটকম
রংপুরের পীরগঞ্জে যাত্রাগানের শিল্পী দেলোয়ারা বেগম ঝিনুকের খণ্ডিত মাথা উদ্ধারের পরের দিন ওই নারীর মেয়ে সায়মার (৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘাতক আতিকুরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পীরগঞ্জ থানা পুলিশ পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক।ওসি জানান, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশ করতোয়া নদীর বড় বদনারপাড়া নামকস্থান থেকে মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করে
। এ ঘটনায় আতিকুর রহমান নামে একজনকে আটক করা হলে তার স্বীকারোক্তিতে শনিবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার করতোয়া নদীর টোংরারদহ নামকস্থান থেকে যাত্রাগানের শিল্পী দেলোয়ারা বেগম ঝিনুকের খণ্ডিত মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
এরপর ঘাতক আতিকুর রহমানকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, দেড় মাস আগে দেলোয়ারা বেগম ঝিনুকের ৫ বছরের মেয়ে সায়মাকে মেরে মাটিতে পুঁতে রেখেছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরিত্যক্ত জায়গা থেকে পুঁতে রাখা সায়মার মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নের বড় বদনারাপাড়া গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে আতিকুর রহমান (৩৫)। তিনি একজন পেশাদার জুয়াড়ি হওয়ায় মাঝে মাঝেই বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রাগানের শিল্পী নিয়ে আসতেন। কয়েকদিন আগে সে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের পশ্চিম গোলমুন্ডা ফকিরপাড়ার রবিউল ইসলামের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে দেলোয়ারা বেগম ঝিনুককে (৩৬) তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।
গত শুক্রবার সকালে পীরগঞ্জের করতোয়া নদীর তীরে বড় বদনারপাড়ায় একটি মরিচের ক্ষেত থেকে ঝিনুকের মাথাবিহীন লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। পরে উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ এবং র্যাব-১৩ এর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা আতিকুর রহমানকে আটক করে।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ঝিনুকের ফেলে রাখা লাশের স্থান থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ওই নদীর টোংরারদহ নামকস্থানে নদীপাড়ে কাঁদার নিচ থেকে ঝিনুকের মাথাটি ৪১ ঘণ্টা পর শনিবার বিকেলে উদ্ধার করে।
পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, কী কারণে নারীকে হত্যা এবং তার সন্তানকে হত্যা করেছে ঘাতক তা এখনও জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। মূল ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে অল্প সময়ের মধ্যে জানা যাবে।
বাতায়ন২৪ডটকম