স্টাফ করেসপন্ডেন্ট||বাতায়ন২৪ডটকমঃ-
রংপুর সিটি কপোর্রেশনের ১৮ নং ওয়ার্ডের কেরাণীপাড়া এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, হত্যা সহ এক ডর্জন মামলার আসামী মিলন ওরফে মুরগী মিলন এবং তার সহযোগী সুমন ওরফে বানিয়া সুমন কে গ্রেফতার করেছে রংপুর কোতোয়ালি মেট্রো: পুলিশ।
কোতোয়ালি মেট্রো:পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৪/০১/২০২৩ ইং তারিখে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.৩০ টার সময় রংপুরের জিরো পয়েন্ট খ্যাত কাঁচারী বাজারস্থ মৌবন গলির পার্শে আইনজীবী ভবনের নিচ তলায় নিউ স্টার হোটেলের গলি তে দৈনিক গণকন্ঠ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও দৈনিক দাবানল পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার এবং বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব রংপুরের সহ: সভাপতি জনাব আতিকুর রহমান আতিক সংবাদ সংগ্রহ করা কালে মিলন ওরফে মুরগী মিলন এর নেতৃত্বে সুমন ওরফে বানিয়া সুমন, ইমরান সহ আরো ৯-১০ জন সন্ত্রাসী দেশিও অস্ত্র সহ চড়াও হয় তখন ভুক্তভোগী সাংবাদিকের কাছে থাকা সংবাদ সংগ্রহের কাজে ব্যবহিৃত মোবাইল ফোন এবং তার কম্পিউটার কেনার জন্য সাথে থাকা ২৫,০০০/- টাকা কেড়ে নেয় এবং তার পরিচয়পত্র নিয়ে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে কুচলিয়ে দেয় এবং পরনের জ্যাকেটের কলার ধরে কিল ঘুষি মারতে থাকে ।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক তখন প্রতিবাদ করলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করে এবং তার সাথে থাকা নাবালক সন্তান মোঃ তৌফিকুর রহমান কে লাথি মেরে উক্ত স্থান ত্যাগ করাতে বাধ্য করে।চলে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসী মিলন, সুমন, ইমরানসহ অন্যরা ভুক্তভোগী সাংবাদিককে কোনোরকম বারাবারি করলে তার ও তার ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করতে করতে দ্রুতগতিতে মোটর সাইলেক যোগে উক্ত স্থান ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিক নেতাদের সাথে নিয়ে রংপুর কোতয়ালী মডেল থানায় দুই জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৯/১০ জন কে আসামী করে মামলা করেন যাহার মামলা জিআর নং-৩৩/২৩।বিগত কয়েক দিন ধরে এজাহার ভুক্ত আসামীগণকে গ্রেফতার করার বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালিয়ে গত ১৮/০১/২০২৩ খ্রি: রাত আনুমানিক ৮.০০ ঘটিকার সময় রংপুরের কোতয়ালী থানাধীন কেরাণীপাড়া চৌরাস্তার মোড় থেকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আব্দুল আলীম।
এ ব্যাপারে এস আই আব্দুল আলীমের সাথে কথা বলে যানা যায়, অভিযুক্ত মিলন ওরফে মুরগী মিলন কে ধরতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।সে অত্যন্ত ধুরন্ধর প্রকৃতির সন্ত্রাসী,বিভিন্ন সময় সে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করে তাই তাকে ধরতে বেশ বেগ পেতে হয় এখন আইন অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুরগী মিলন সম্পর্কে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী এবং ভুক্ত ভোগী ব্যক্তিরা জানান, মুরগী মিলন এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী,তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ,প্রতিদিন কোন না কোন বাড়ীতে সে চাঁদা দাবী করে।এলাকার মধ্যবিত্ত ও নতুন বাসা ওয়ালা সহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিকট বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি ও হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করে। সে তিনটি হত্যা মামলার আসামী এবং তার নামে একাধিক মামলা আছে এর বেশি আমরা বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে রংপুর কোতয়ালী মেট্রো:থানার ওসি বলেন, আমরা (১)ও(২) নং আসামীকে গ্রেফতার করেছি, অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সন্ত্রাসীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
Leave a Reply