৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বিজয়। এক প্রহর পর জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নামবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। শ্রদ্ধা জানাবেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিদেশি কূটনীতিকরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে সাভারের নবীনগরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে দেখা যায়, ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা। জাতীয় স্মৃতিসৌধের বিভিন্ন স্থাপনা, সিঁড়ি রং-তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে। এখন চলছে শেষ মহূর্তের প্রস্তুতি।
প্রায় দেড় মাস ধরে স্মৃতিসৌধের প্রধান ও দ্বিতীয় ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ডিভাইডারসহ স্মৃতিসৌধের বিভিন্ন স্থাপনা এবং সিঁড়িতে রং-তুলির আঁচড়ে নতুনত্বের রূপ দেওয়া হয়েছে। পুরো সৌধ প্রাঙ্গনের ভেতরে বাহারি ফুলের চারা দিয়ে সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে। রংবেরঙের বাতি দিয়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
এছাড়া লেকের পাড় সংস্কারের পাশাপাশি পানি পরিষ্কার করার কাজ শেষ হয়েছে। সৌধ এলাকার চারদিকে কয়েকশ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর থেকে সৌধ এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নিরাপত্তার ব্যাপারে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সৌধ এলাকাসহ মহাসড়কে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে।
Leave a Reply