স্টাফ করেপেন্ডেন্টে, রংপুর।। বাতায়ন২৪ডটকম।।
স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি আরেকটি লড়াই আসন্ন। সেই লড়াইয়ে জাতীয় পার্টি স্বাধীনতার পক্ষের লড়াইয়ে আবির্ভূতহবে। লড়াই করে বিজয়ী হবে। বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কো চেয়ারম্যান রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে রংপুর মহানগরীর দলীয় কার্যালয়ে সংবিধান সংরক্ষণ ও গণতন্ত্র রক্ষা দিবস উপলক্ষে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ইয়াসির, ভাইস প্রেসিডেন্ট আজমল হোসেন লেবু, যুগ্ম মহাসচিব হাজি আব্দুর রাজ্জাকসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এসময় মোস্তফা বলেন, ‘ স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিরা এখন মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। আমি একটা কথা বলি। আমি বাঁচি আর মরি। সেটা পরের বিষয়। আপনারা দেখবেন। আর সেদিন বেশি দুরে নয়। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির আরেক লড়াই আসন্ন। সেই লড়াইয়ে জাতীয় পার্টি স্বাধীনতার পক্ষের লড়াইয়ে আবির্ভত হবে। লড়াই করে বিজয়ী হবে।’
মোস্তফা বলেন, ‘ আমরা স্বাধীনতার পক্ষের একটা শক্তি। স্বাধীনতার লালসবুজের পতাকাকে লালন করি। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধকে মেনে চলি। ২ লাখ মানুষের আত্মাহুতি, ২ লক্ষ মা বোনের হানির বিনিময়ে, এক সাগর রক্তের বিনিমিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আমরা। জাতীয় পার্টি এটা আমরা লালন করি। আমরা জাতীয় পার্টি সেটা করে যাচ্ছি।’
ড. ইউনুসের প্রতি অভিযোগ এনে মোস্তফা বলেন, ‘ইউনুস সাহেবের হাত রক্তে রঞ্জিত। ইউনুস সাহেব কিন্তু নিষ্কুলুষ মানুষ নন। হিসাব করে দেখেন। ১৫ মাস। কত মানুষ মারা গিয়েছে। আপনারা পাখির মতো মানুষ মেরে ফেলেছেন গোপালগঞ্জে। এই কথাগুলো বলতে গেলে আজকে আমাদের রাষ্ট্রের বিপক্ষে কথা বলতে হচ্ছে। আজকে যদি আমাদের বাকশক্তি রুদ্ধ করেন। আমাদের যদি গলা চিপে ধরেন। তাহলে তো আর গণতন্ত্র থাকলো না ।”
মোস্তফা বলেন, ‘ আমরা চাই আপনাদের ভালো কাজকে আমরা সাপোর্ট করবো। আপনাদের খারাপ কাজের আমরা সমালোচনা করবো। এটাই গণতন্ত্রের একটা সৌন্ধর্য্য। সেক্ষেত্রে গণতন্ত্রের যে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ সেটা আমরা এখন পর্যন্ত পাই নি। বাংলাদেশের কোন সেক্টর ঠিকভাবে এখন চলছে না। সচিবালয় চলছে না। বিচার বিভাগ চলছে না। ’
নির্বাচন কমিশন মেরুদন্ডহীন দাবি করে মোস্তফা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটা মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশন। যার অধীনে একটা নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন কমিশন যদি একটা দলের কথায় আরেকটা দলকে ব্যান্ড করে। সংলাপে না ডাকার জন্য সাহস পায়। এই নির্বাচন কমিশন আমরা মনে করি মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচনে কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন বা গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেয়া সম্ভব নয়। খবুই কষ্টসাধ্য হবে।’ সেই রকম একটা নির্বাচন কমিশন দিয়ে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা আশা ছাড়ি নাই। ’
মোস্তফা বলেন, ‘ জাতীয় পার্টির জন্ম হওয়ার পর থেকে শুধু ১৫ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনটা আমরা করি নাই। আর বাকি সব র্নিচাবেন জাতীয় পার্টি অংশ গ্রহন করেছে। আমরা চাই একটা সুষ্ঠু পরিবেশ। একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ। যাতে সবাই অংশ নিতে পারে। সেই নির্বাচনটা আমরা চাই। ’
প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান হওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে মোস্তফা বলেন, ‘ আমরা চাই প্রতিহিংসার অবসান হোক। এই প্রতিহিংসার রাজনীতি যতদিন চলতে থাকবে। এই দেশ স্বাভবিক অবস্থায় কখনও আসবে না।’
মব করে এনসিপি শাপলা কলি প্রতিক নিয়েছে উল্লেখ করে মোস্তফা বলেন, ‘দেশ এখন মবের দেশ হয়ে গেছে। মব তৈরি করতে পারলেই আপনি সব কিছু করতে পারছেন। আপনি হাইকোর্টের বিচারপতিকে সরাতে পারছেন। আজকে যদি মব তৈরি করে নির্বাচন কমিশনে যান। নির্বাচন কমিশনকে যা বলবেন। সেটাই তারা করবে। যেমন নির্বচান প্রতীকের গেজেড হয়ে গেছে। আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংহয়ে গেছে।তারপরেও এনসিসিপির চাপে নির্বাচন কমিশন শাপলা কলি প্রতিক দিতে বাধ্য হলো।’
বাতায়ন২৪ডটকম।। মেমোহি।।